বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শিয়া তংসী চাক পাড়ায় জাদিতে বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের ঘটনা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী করেছেন পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদের নেতারা।
রোববার বান্দরবান প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদের বান্দরবান জেলার সভাপতি ভদন্ত উ: পাইঞঞা নাইন্দা মহাথের।
এসময় পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদ বান্দরবান জেলার সাধারন সম্পাদক ভদন্ত উ: উক্যজা মহাথের, বাঙ্গালহালিয়া আজো পাড়া বৌদ্ধ আশ্রমের অধ্যক্ষ ভদন্ত উ: খেমাচারা মহাথেরসহ পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সংম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শিয়া তংসী চাক পাড়ায় জাদিতে বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুর করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।
এই সংবাদ পাওয়ার পর পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদের পক্ষ থেকে ১৬ জানুয়ারী ঘটনা স্থল সরজমিনে পরির্দশন করা হয়। ঘটনাস্থল পরির্দশনে জানা গেছে বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কিছু দুষ্ট প্রকৃতির অসৎ লোক সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য এ অপপ্রচার চালিয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে দাবী করা হয়, ১৯৭৪ সালে ডাকাত দল বৌদ্ধ জাদিতে হানা দিয়ে স্বর্নালংকার সহ মুল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যাওয়ার সময় তারা একটি বৌদ্ধ মুর্তির মাথা ও আরেকটি মুর্তির হাত ভেঙ্গে দেয়। সুতরাং এটি অনেক পুরাতন ঘটনা নতুন কোন ঘটনা নয়। সংবাদ সম্মেলনে এঘটনায় আটক দুই জনের মুক্তি দাবী করেন পার্বত্য বৌদ্ধ ভিক্ষু পরিষদের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারী কে বা কারা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শিয়া তংসী চাক পাড়ায় জাদিতে দুটি বৌদ্ধ মুর্তির মাথা ও হাত ভেঙ্গে দেয়। গত ৮ জানুয়ারী এই ঘটনা প্রকাশ পেলে পাড়ার লোকজন ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে চকাঅং চাক (১৪) ও অংসাইন চাক (১৬) নামে দুই জনকে সামাজিক বিচারের মাধ্যমে তাদের চুল কেটে দেয়ার পর পুলিশের হাতে সোর্পদ করে। পরে আটক দুজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.