রাঙামাটিতে অায়োজিত তিন দিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা মঙ্গলবার সমাপ্ত হয়েছে। বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী কাজে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গঁনে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের সহযোগিতায় ৩৭তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো.সামুসল আরেফিন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ মোস্তফা জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহিনুর রহমান,রাঙামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারি অধ্যাপক শান্তনু চাকমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলজার আহম্মদ খাঁন ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.আলো রানী এইচ প্রমূখ।
এর প্রধান অতিথি মেলায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের তৈরী বিভিন্ন প্ল্যান্ট ও স্টল পরিদর্শন করেন। তিন দিনের বিজ্ঞান মেলায় জেলা সদরসহ প্রায় ৩৫টি স্কুল ও কলেজ এই মেলায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা অটোমেটিক পাওয়ার সাপ্লাইয়ার তৈরী,বিদ্যুৎ সরবরাহ,জ্বালানী সংকট দূর করা, বিদ্যুৎ ও সোলারের বিকল্প জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ রোধ করা,জমিতে সেচ দেওয়া পাম্প তৈরী করা ইত্যাদি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কথা তুলে ধরে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বির্তক প্রতিযোগিতায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে এবং বিজ্ঞান প্রকল্প প্রতিযোগিতায় (জুনিয়ার) ও সিনিয়ার গ্রুপ পর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সাটিফিকেট বিতরণ করেন। মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে (কলেজ পর্যায়ে) রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, দ্বিতীয় (স্কুল পর্য়ায়ে) লংগদু উপজেলার রাবেতা মডেল উচ্চবিদ্যালয় ও তৃতীয় লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই আগামী দিনে এই দেশ আলোকিত করবে। তিন দিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী পর্যন্ত ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের অত্যন্ত চমৎকার ও সুন্দরভাবে তাদের মেধাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য কৃতি ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পারবেন তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের যদি আরো একটু গাইট লাইন দেওয়া যেতে পারে তা হলে তারা অবশ্যই সফলতা বয়ে আনবে। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলীদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.