সোমবার রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলার সুবলং শাখা বন বিহারে সাধনা নন্দ মহাস্থবীর (বনভান্তে) স্মরণে ১শ ২৬ ফুট সিংহশয্য গৌতম বুদ্ধের মুর্তি নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সুবলং শাখা বন বিহার মাঠে রাঙামাটি রাজ বন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির বিশ্ব শান্তি ও সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় মোমবাতি প্রজ্জলন করে এ কাজের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সুমন মহাস্থবীর, আর্য্যনন্দ স্থবীরসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বৌদ্ধভিক্ষুগণ উপস্থিত হাজারো পুণ্যার্থীদের ধর্মীয় দেশনা (উপদেশ বাণী) দেন। এছাড়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারে সভাপতি ধল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক প্রচারক চাকমা, সুবলং শাখা বন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের জ্যেষ্ঠ উপাসক-উপাসিকাবৃন্দ, মহিলা লীগের সভানেত্রী ও সাবেক ওয়ার্ড সদস্য মিতা চাকমা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুরেশ কুমার চাকমা, সাংবাদিক সুমন্ত চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিহার মাঠে হাজার হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সমাগমে সর্বজনীয় মাঙ্গলিক ধর্ম্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভিক্ষু সংঘদের ছোট্ট শিশুরা ফুল দিয়ে বরণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সভায় পঞ্চশীল গ্রহণ,বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপুরুস্কার দান, ভুমি কম্মাবাচা পাঠ করা হয়।
রাঙামাটি রাজ বন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির বলেন, বুদ্ধের অমৃত বাণী অনুসরণ করে লোভ, দ্বেষ, হিংসা পরিহার করে ক্ষমা ও মৈত্রীর মনোভাব নিয়ে নিজের মনের, সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভব। তিনি দান, শীল, ভাবনার মাধ্যমে গৌতমবুদ্ধ ও ধর্মীয় গুরু প্রয়াত বনভান্তের পথ অনুসরণের উপদেশ দেন।
জানা গেছে, মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত বনভান্তের স্মরণে গৌতম বুদ্ধের সৃতি ধরে রাখতে ২০১৩ সালে মার্চ মাসে প্রথম জুরাছড়ি উপজেলার প্রবজ্যিত ভিক্ষুর এ উদ্যোগ গ্রহন করেন। এ উদ্যোগ দায়ক-দায়িকাদের কাছে প্রকাশিত হলে একবাক্যে সারা দেওয়া হয়।
আরও জানা যায়, গৌতম বুদ্ধের ১৪০ ফুট দৈর্ঘ, প্রস্থ্য ৪০ ফুট, উচ্চতা ১২৬ ফুট সিংহশয্য মুর্তি প্রাক্কলন ও নকাশা তৈরী করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকৌশলী তৃপ্তী শংকর চাকমা। তাঁর প্রক্কলন অনুসারে এ মর্তি নির্মাণ কাজে সম্ভাব্য ব্যয় ৫ কোটি টাকা প্রায় খরচ হবে।
এ টাকা সংগ্রহরে জন্য বিহারের জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু আর্য্যনন্দ স্থবীরের নের্তৃত্বে ভিক্ষু সংঘ ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা দান সংগ্রহ করছে। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তিগত দান ও শ্রমে মুর্তি নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে সমাপ্ত করা কথা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.