চন্দ্রঘোনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) মারাত্মক অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও মিল কর্তৃপক্ষ কাগজ উৎপাদনে মনযোগ না দিয়ে অনুৎপাদন খাতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছে। এসকল খাতে ব্যয় বন্ধ করে অনতিবিলম্বে মিলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে কাগজ উৎপাদনে মনোনিবেশ না করে মিলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সোমবার বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধ ও উৎপাদন বৃদ্ধির দাবীতে মিলের প্রধান ফটকে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
কেপিএম এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (সিবিএ) এর উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিবিএ সভাপতি তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সিবিএর কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুনুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক ওসমান গনি, সহ ক্রীড়া সম্পাদক আবুল বশর, স্বেচ্ছা সেবক প্রধান নজির আহম্মদ, সিবিএ সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল ওহাব বাবুল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে ১০টি দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে দাখিল করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, মিলের জরুরী ব্রেক ডাউনের কাজে খাটিয়ে শ্রমিকদের দেয়া অধিকাল পুনরায় কর্তৃপক্ষ কেটে দিচ্ছে। উৎপাদন সহায়ক বিভিন্ন র-ম্যাটারিয়ালের অভাবে কাগজ উৎপাদনে ধস নেমেছে। অথচ প্রয়োজনীয় উৎপাদন সহায়ক কেমিক্যাল ও কাঁচামালের ব্যবস্থা না করে অনুৎপাদনশীল বিভিন্ন খাতে অর্থ ব্যয় অব্যাহত রেখেছে।
বক্তারা বলেন, ১৩০ জন অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী ৩ বছর পূর্বে অবসর নিলেও তাদের পাওনা পরিশোধ করছেনা। এতে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মিলের বাঁশ কেন্দ্রে প্রায় ২২শ টন চিপস (বাঁশের কুঁচি) দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় সেগুলি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে এসব চিপস দ্বারা কাগজ উৎপাদন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.