বান্দরবানের লামায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া পাহাড়ী সম্প্রদায়রে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারেরর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরনের ঘটনার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও লাছাই মার্মা নামের স্কুল ছাত্রীকে এখনো উদ্ধার যায়নি। গেল ২৪ মে লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাপের গারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্কুল ছাত্রী লাছাই মার্মা (১৩) প্রতিদিনের মত বাড়ীতে খাবার খেয়ে বাড়ীর পাশে নানার বাড়ীতে ঘুমাতে যেত। গেল ২৪ মে ভাত খেয়ে রাত ৭ টার সময় অন্যান্য দিনের মত নানার বাড়ীতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পথরুদ্ধ করে একই এলাকার সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে মোঃ মিজান (২১) এর নেতৃত্বে মনছুর আলম (২২), পিতা- নুর মোহাম্মদ, মোঃ জসিম (১৯), পিতা- করন আলী, মোঃ মঞ্জুর (১৮), পিতা- শফিক কালু, মোঃ মিজান (২০), পিতা- ফয়েজ আহাম্মদ ও মোঃ হাছন (২৫),পিতা- মকবুল হোসেন মিলে অপরহণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অপহৃত লাছাই মার্মার পিতা অংছাপ্রু মার্মা মেয়ের অপহরণের ব্যাপারে প্রথমে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর কাছে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় ভাবে উদ্ধারের আশ্বস্তও হয়। আশ্বস্তের ৩ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও লাছাই মার্মা উদ্ধার না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে গেল ২৭ মে লামা থানায় অপহৃতের পিতা অংছাপ্রু মার্মা মামলা দায়ের করেন। লামা থানার মামলা নং- ১১(২৭/০৫/১৬)। লাছাই মার্মা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হারগাজা নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।
অপহৃত লাছাই মার্মার পিতা অংছাপ্রু মার্মা বলেন, তিনি জমিতে চাষ করে অনেক কষ্টে লাছাই মার্মার লেখাপড়া করাচ্ছেন। কিন্তু গেল ২৪ মে তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়। এলাকার চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারের কাছে বিচারের জন্য আশ্রয় নিলে তিনি মেয়ে উদ্ধার করে সুষ্ঠ বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তার আশ্বাসের পরও চেয়ারম্যানের কার্যক্রম বিশ্বাস না হওয়ায় তিনি লামা থানায় মামলা দায়ের করেণ।
লামা থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, লাছাই মার্মাকে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ আশাবাদী শিগগিরই লাছাই মার্মাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.