রাঙামাটির বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ছোটহরিণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুনের ক্যাডার বাহিনী জোর পূর্বক ভোট কেন্দ্র দখল, প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে জাল ভোট দেয়ার প্রতিবাদে রোববার উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকার লোকজন।
বিক্ষোভ মিছিলটি বরকল উপজেলা পরিষদের মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে বাজার এলাকা ঘুরে এসে উপজেলা পরিষদের মাঠ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লক্ষীমন চাকমা ইতিময় চাকমা ও উৎপল চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইন শৃৃঃখলা রক্ষাকারী বাহিনীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আওয়ামীলিগের প্রার্থী মামুনের ক্যাডাররা ভোট শুরুর আধা ঘন্টার মধ্যে ভূষণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরে বড়কুড়াদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাড়াঁনো থাকা পাহাড়ী নারী পুরুষ ভোটারদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে।
এতে প্রমেশ চাকমা কালারাম চাকমা ও শান্তি লাল চাকমা নামে তিনজন পাহাড়ীকে আহত হয়। ক্যাডারদের আক্রমণের ভয়ে পাহাড়ী নারী পুরুষ ভোটাররা পালিয়ে গেলে সেই সুযোগে আওয়ামীগের ক্যাডাররা দুটি কেন্দ্র দখল করে পাহাড়ীদের ভোট গুলোও নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
সমাবেশে বক্তারা ছোটহরিণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক অতিদ্রুত ওই কেন্দ্রে পূনঃনির্বাচন দেয়ার জোর দাবী জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
এদিকে, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দিলিপ কুমার চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ভূষণছড়া ও বড়কুড়াদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের পর বেলা ১১টার দিকে ছোটহরিণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে লাইনে দাড়িঁয়ে থাকা পাহাড়ী নারী পুরুষদের উপর অর্তকিতে লাঠিসোটা নিয়ে মানুনের ক্যাডার বাহিনী আক্রমন করে।
এতে ১৯জন পাহাড়ী নারী পুরুষকে আহত হয়। আহতদের বিজিবি জোনে ও স্থানীয় ফার্মিসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ আক্রমনের কারনে পাহাড়ী ভোটাররা ভীত হয়ে কেন্দ্র থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যায়। সাহস করে পাহাড়িরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসার চেষ্টা করলে ২৫ বিজিবির সদস্যরা বাধা প্রদান করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, নৌকা প্রতীক প্রার্থী মামুনের ক্যাডারদের বাধা ও মারধোর। অন্যদিকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা ও ভোটার আইডি কার্ড দেখার নামে হয়রানি করায় পাহাড়ী ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। এ সুযোগে প্রায় দুঘন্টা ধরে ভোট কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সীলমারে। পাহাড়ীরা ভোট দিতে না পারলেও এ তিন কেন্দ্রে শতভাগ ভোট কাষ্ট দেখানো হয়েছে।
কেন্দ্র দখল করে ভোট দেয়ার ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার মনিরুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা করেননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.