লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় পুলিশের ও পৌরসভার বাধা উপেক্ষা করে জোর পূর্বক অবৈধভাবে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছে। সোমবার ২টায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। গুরুতর আহত পারভীন আক্তারকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লামা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহাবুব ও তানবীর জানান, সোমবার দুপুর ২টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবৈধ ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করলেও তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বিকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় লোকজন অবৈধঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করলে সবুজ, শ্যামল ও মনিরুল ইসলাম রাসেল স্থানীয় লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এতে স্থানীয় নিজাম উদ্দিন, পারভীন আক্তার, নুর আলম সহ চারজন আহত হয়। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৩০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। হামলাকারী সবুজ এ ঘটনায় তার স্ত্রী আহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন।
চেয়ারম্যান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইউছুপ আলী ও সহ-সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিনের দায়েরকৃত মামলায় জানা যায়, ১৯৮১ সালে চেয়ারম্যান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ের দানপত্র মূলে ২৯ শতক জায়গার মালিক। পার্শ্ববর্তী মৃত শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে সবুজ, শ্যামল ও মনিরুল ইসলাম রাসেল বিদ্যালয়ের ১৪শতক জায়গা জবরদখল করেছেন। তারা বিদ্যালয়টিকে উচ্ছেদের পায়তারা করছেন। চেয়ারম্যান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য দরপত্র আহবানের খবর শুনে বিদ্যালয়ের আরো জায়গা জবরদখলের জন্য জোর পূর্বক অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছেন। বিদ্যালয় কমিটির পক্ষ থেকে থানা এবং পৌরসভায় অভিযোগ দেয়ার পরে ঘর নির্মাণে স্থগিত আদেশ দিলে অভিযুক্তরা তা কর্ণপাত করেননি।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশে বাধা দেয়া সত্ত্বেও ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়নি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.