• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
রাঙামাটিতে সিপিবি’র নেতৃত্বে সমীর ও অনুপম                    পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য পুনঃস্থাপন ও সম্প্রদায়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষনে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন                    বিলাইছড়িতে তথ্য অফিস কর্তৃক নারী সমাবেশ                    রাঙামাটিতে কলা গাছের আঁশের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শনী ও উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে পুষ্টি পরিষেবার ঘাটতি পূরণে জন্য স্থানীয় লাইন বিভাগের সাথে সভা                    রাঙামাটিতে দুই বান্ধবীর একসাথে বিষপানে একজনের মৃত্যু,আরেকজন গুরুত্বর অসুস্থ                    রাঙামাটিতে সেনা অভিযানে জেএসএসের সশস্ত্র সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার                    রাঙামাটিতে সনাকের বলপিয়ে আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসিজি’র গ্রুপ গঠন                    রাঙামাটিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত                    জীববৈচিত্র্য পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়নের খাগড়াছড়িতে চারা বিতরণ                    রামগড়ে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা                    অনিয়মের অভিযোগে রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে দুদকের অভিযান                    প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরকারী সেবা সম্পর্কে অবহিত করতে গণ সংলাপ                    রাজস্থলীর মিতিঙ্গাছড়িতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা                    কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাটে ফের পানি ছাড়া হচ্ছে                    রাঙামাটিতে এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রথম আলোর সংবর্ধনা                    সাজেক পর্যটনে অগ্নিকান্ডে ঘটনার ছয় মাস পর কটেজ-রিসোর্ট স্থাপনা নির্মাণে লাইন্সে প্রদান                    কাউখালীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুরকে নতুন ঘর দিল সেনাবাহিনী                    খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চলের মগপার্টির সশস্ত্র বিভাগের প্রধান নিহত                    রাঙামাটিতে পর্যটন স্পটে যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল,ফুটপাত দখল দুঃখজনক-জেলা প্রশাসক                    রাজস্থলীতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে কারবারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত                    
 
ads

দেড়যুগ পরও এমপিও হয়নি ঘাগড়া কলেজটি,মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

বিশেষ প্রতিনিধি : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 18 Jul 2019   Thursday

দীর্ঘ দেড় যুগ পরও এমপিও ভুক্তি করা হয়নি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া কলেজটি। কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা এ দেড় যুগেরও বেশী বেতন ভাতা ছাড়া মানবেতর জীবন যাপন করছেন।


চলতি বছর নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার ঘাগড়া কলেজে একজন ইংরেজী, একজন সমাজ বিজ্ঞান ও একজন পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক নিয়োগ দেয়। এদেরও কোন বেতন ভাতা নেই।


২০০১ সালে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী প্রয়াত কল্পরঞ্জন চাকমার প্রচেষ্টায় কলেজটি প্রতিষ্ঠার লাভ করে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা করে কলেজটি। কিন্তু কল্পরঞ্জনের মন্ত্রীত্ব চলে যাবার পর কোন সরকারই ফিরে তাকায়নি কলেজটির দিকে।


২০০৪ সালে কলেজটি একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করলেও হয়নি এমপিও। ফলে মানবেতর জীবন যাপনের পথ দীর্ঘ হয় কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের। অনেকে চাকুরী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।


কলেজ সূত্র জানায়, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কলেজে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের নিয়মিত অনিয়মিত মিলে বর্তমানে ছাত্রছাত্রী রয়েছে প্রায় ৫ শ জন। শিক্ষক রয়েছে ১৫ জন। কর্মচারী রয়েছে ১০ জন।

 

বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা শিল্পী চাকমা বলেন, খুব কষ্ট হয়। আশায় আশায় এত বছর ধরে শিক্ষকতা করে যাচ্ছি কিন্তু প্রাপ্তির ফলাফল শূণ্য। ইসলামী ইতিহাস সংস্কৃতি শিক্ষক চায়না চাকমা বলেন, মাঝে মাঝে খুব হতাশা কাজ করে। কলেজের ছেলে মেয়েদের মুখ দেখে অনেকটা দায় নিতে কলেজটিতে পড়ে আছি। এতবড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে হয় যেন অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়। এমপিও হলে আমাদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরবে। সে আশায় দিন পার করছি। শিক্ষকদের সমস্যাগুলো প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের উপর।


মানবিক বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী টুম্পা চাকমা বলেন, স্যারদের মনে আনন্দ দেখলে ভাল লাগে। আমরা জানি, স্যারেরা বেতন ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে কতদিন? তারা যদি সরকারী কিছু সুবিধা পায় তাতে আমাদের উপকার হবে। গাড়িভাড়ার অভাবে অনেক স্যার কলেজে আসতে পারেন না এমনও তথ্য আমাদের কানে আসে।


মানবিক বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আসাদুল ইসলাম বলেন, কলেজটি এমপিও না হওয়ায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। জাতীয় মহিলা দলের ফুটবলার মনিকা চাকমাও আমাদের কলেজের ছাত্রী।

 

কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল মিত্র চাকমা বলেন, তৎকালীন প্রথম পার্বত্যমন্ত্রী কল্পরঞ্জন চাকমা অনেক স্বপ্ন নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু থেকে কলেজের দায়িত্ব নিয়ে ছিলাম। অনেক স্বপ্ন দেখেছি। ২০২২ সালে অবসরে চলে যাব। আমরা দীর্ঘ বছর ধরে কলেজটি এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করে যাচ্ছি কিন্তু দুর্ভাগ্য, হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পুরণ কওে জমা দিয়েছি। কলেজের অবকাঠানো স্বয়ং সম্পূর্ণ। এমিপও হলে কলেজে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরবে।


এমপিও ভুক্তি না হওয়ায় শিক্ষকদের রাখা সম্ভব হয় না। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বেতন ভাতা না পাওয়ায় তারাও ক্লাশ নিতে আসে না। চাপ দিতে পারি না। যেন সবার মাঝে হতাশা কাজ করছে। সবকিছু মিলিয়ে ঝিমিয়ে পড়ার অবস্থা। এ থেকে উত্তোরণের একমাত্র উপায় এমপিওভুক্তি করা। প্রধানমন্ত্রী সদয় হলে কলেজটি এমপিও ভুক্তি হবে। দুর্গম এলাকার অনেক ছেলে মেয়ে পড়াশুনার সুযোগ পাবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ