শুক্রবার দীঘিনালা ভূমিরক্ষা কমিটির আহ্বানে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদ, আটকদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিজিবি ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর সরিয়ে নেয়ার দাবিতে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকায় জাতীয় যাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভূমিরক্ষা কমিটির সভাপতি পরিতোষ চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আনু মহাম্মদ (তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা,মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, দীঘিনালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা, কবাখালি ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বকল্যাণ চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি মাইকেল চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা। সভা পরিচালনা করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমা।
সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি প্রকাশ করেছেন মঙ্গলধ্বণির সম্পাদক শাহরিন আরাফাত, গণমুক্তি গানের দলের নাট্য সম্পাদক নাহিদ সুলতানা লিসা, জ্ঞানালোক ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদের জুয়েল বড়ুয়া। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ৪নং দীঘিনালা ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, বিজিবি কর্তৃক উচ্ছেদকৃত শশী মোহন পাড়ার কার্বারী নতুন চন্দ্র চাকমা, গোপাদেবী চাকমা ও তার মেয়ে অপ্সরী চাকমা। এছাড়া হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর আনু মহাম্মদ দীঘিনালা ভূমিরক্ষা কমিটির বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত বলে ঘোষণা দেন এবং কমিটির উত্থাপিত দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত থাকলে বাংলাদেশও অশান্ত থাকবে। পাহাড়ে যে নির্যাতন ও দখলদারিত্ব চলছে তার সাথে শুধু সেনাবাহিনী আর আমলারা নয়, পাহাড়িদের মধ্য থেকেও একটি ক্ষুদ্রগোষ্ঠী এর সাথে যুক্ত ও লাভবান হচ্ছে। ‘৯৭ সালে যে ‘শান্তি চুক্তি’ হয় তাতে নির্দিষ্ট পর্যায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তা আমরা সবাই জানি। পাহাড়ের অধিবাসী যাদের সবাইকে জুম্মো বলা হয়, তাদের মধ্যেও বিভেদ তৈরি হয়েছে। লড়াইয়ে ঐক্য না থাকায় লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না। পাহাড়িদের নিজেদের মধ্যে যেমন ঐক্য প্রয়োজন, তেমনি সমর্থকদের সাথেও ঐক্য গড়া দরকার। পাহাড়ে যে নির্যাতন নিপীড়ন আর দখলদারিত্ব চলছে তাতে শুধু পাহাড়িরা নয় সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীও। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব শুধু পাহাড়িদের নয়, অন্যদেরও দায়িত্ব আছে। বাঙালিদের মধ্যে যারা সংবেদনশীল তাদের সাথে ঐক্য সম্প্রসারিত করতে হবে।’
সমবেশে দীঘিনালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা, কবাখালি ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বকল্যাণ চাকমা ও ভূমিরক্ষা কমিটির সভাপতি পরিতোষ চাকমা বাবুছড়ায় ভূমি বেদখলের চিত্র তুলে ধরেন এবং আন্দোলনে সংহতি জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.