রাঙামাটির বরকল উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সোমবার সম্প্রতি বন্যায় দূর্গত কয়েকটি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রি ও ঔষধ বিতরন করা হয়েছে।
সপ্তাহ ধরে টানা প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে রাঙামাটির দূর্গম বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন’সহ সেখানকার বেশকটি নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এক সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে রাঙামাটির বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১৮টি গ্রাম স্কুল ঘর হোস্টেল
ছয় দিন ধরে অতি ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে বিলাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসত বাড়ী দোকানপাট পানিতে ডুবে গেছে
রাঙামাটিতে টানা ছয় দিনের বর্ষণের ফলে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের ভীড় ছিল।
সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিককে দেখতে গত বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে যান ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী।
রাঙামাটিতে টানা পাঁচ দিনের ভারী বর্ষনে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে বাঘাইছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক গ্রাম ও দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।
টানা পাঁচ দিনের ভারী বর্ষনে রাঙামাটিতে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসনের আশ্রয় কেন্দ্রে ঝুকিপূর্ন স্থানে বসবাসকারীরা আশ্রয় নিয়েছে। তবে অনেকে ঝুকিপূর্ন স্থানে বসবাস করছে।
ভারী বর্ষনে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
অবিরাম ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিতসহ খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
টানা চার দিনের ভারী বর্ষনের কারণে রাঙামাটি শহরে বিভিন্ন স্থানে ঝুকিপূর্ন অবস্থায় বসবাসকারীরা জেলা প্রশাসনের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ পর্ষন্ত ১২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিতসহ পানছড়ি-দুধুকছড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
রাঙামাটির কাপ্তাইয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করার কারণে আবারও বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছে এলাকার লোকজন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ জানে আলম আর নেই(ইন্নালিল্লাহি ওয়া রাজিউন--)।