দূনীতি ও অনিয়মের উর্দ্ধে থেকে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করে পার্বত্য মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আত্মনিয়োগ করতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুর্নগঠিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
সোমবার কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের দেয়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পুর্নগঠিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
কাউখালী উপজেলা মাঠে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি এস,এম চৌধুরী। সংবর্ধিত অতিথি ছিলে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর. কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য চিংকিউ রোয়াজা, জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, কাউখালী আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, কলমপতি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মমং মারমা, কাউখালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্ত। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাউখালী উপাজলার বেতবুনিয়া মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সামশুদ্দোহা চৌধুরী।
কাউখালী উপজেলা মাঠে স্থানীয় আওয়ামীলীগ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্যকে কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে দীপংকর তালুকদার বলেন, সরকার কর্তৃক পুর্নগঠিত হওয়ার পর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৪ সদস্যদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কেউ অনিয়ম ও দূনীতির অপবাদ দিতে পারেনি। কেউ যাতে ভবিষ্যতেও এ কলঙ্ক দিতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আহবান জানান তিনি।
অতীতের সকল দ্বিধাদ্বন্ধ ও বিদ্বেষ ভুলে পুর্নগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৪ সদস্যদের প্রতি সর্মথন ও সহযোগিতা দিতে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতিও আহবান জানান দীপংকর তালুকদার। সংবর্ধনা দিয়ে জন কল্যানে কাজ করতে পুর্নগঠিত পরিষদ চেয়ারম্যান ও ১৪ সদস্যদের দায়বদ্ধতার বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ দায়বদ্ধতার কথা পরিষদবর্গ যেন ভুলে না যায় এবং সাধারণ জনগন যাতে জেলা পরিসদের উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয় সে দিকে সর্তক নজর রাখার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পূর্বে ৫ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন পরিষদ দিয়ে পরিষদ পরিচালিত হলেও পার্বত্য এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশ গ্রহন ছিল না। সরকার সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পার্বত্য জেলা পরিসদ আইন সংশোধন করে জেলা পরিষদগুলো পুর্নগঠন করেছে। পুর্নগঠিত পরিষদে সকল সম্প্রদায়ের অংশ যেমন নিশ্চিত হয়েছে তেমনি প্রত্যেক উপজেলা থেকে প্রতিনিধি মনোনীত হয়েছেন। তৃণমূল পর্যায়ে জনগনের কল্যানে কাজের সুযোগ এসেছে। জনগণ সংবর্ধনা দিচ্ছে। কিন্তু জনগন যদি উপকার না পায় ,তারা যদি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে জনরোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা । সংবর্ধনার সুবিচার করতে তিনি পরিষদবর্গকে পরামর্শ দেন।
সংবর্ধনার জবাবে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, বিএনপি জামায়াত দেশকে একটি অস্থিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশ জুড়ে পেট্রোল বোমা সহ জঙ্গীবাদী কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, দেশ যাতে একটি জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিনত হয় সে চেষ্টা করছে তারা। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.