১২ই রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে শুক্রবার(১০ জানুয়ারী) রাঙামাটিতে জশনে জুলুছ ( বর্ণাঢ্য র্যালী’র) আয়োজন করা হয়েছে।রাঙামাটির সর্বস্থরের সুন্নী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত জশনে জুলুছটি শহরের প্রেস কাব, দোয়েল চত্বর, পৌরসভা, কাঠালতলীসহ শহরের গুক্তপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা জামে মসজিদে এসে শেষ হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদ হতে এ জুলুছ বের করা হয়। জশনে জুলুছে নেতৃত্ব দেন পার্বত্যাঞ্চলের সর্বপ্রথম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম নঈমী। বনরূপা জামে মসজিদে সমবেত হয় হাজার হাজার মুসল্লি। এসময় মিলাদ কিয়াম পরিচালনা করেন শান্তিনগর জামে মসজিদের খতিব শফিউল আলম আল-ক্বাদেরী।সবশেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন পার্বত্যাঞ্চলের প্রবীন ইসলামী ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ নুরুল আলম হেজাজী।জুলুছের অগ্রভাগে ছিল বিশাল মোটর সাইকেলের বহর। এছাড়া কলেমা খচিত পতাকা হাতে শত শত মুসল্লী এ জুলুছে অংশ নেয়। রাঙামাটি আ’লা হযরত ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের শায়েরদের মুনমুগ্ধকর নাতে রাসুল (দঃ) পরিবেশন ছিল জুলুছের অন্যতম আকর্ষন। এতে রাঙামাটির সকল সুন্নী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারন মুসল্লীরা জশনে জুলুছে অংশ নেন।জুলুছ পূর্ব সমাবেশে অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ ক্বারী নজরুল ইসলাম নঈমী বলেন,জশনে জুলুছ উদযাপন হচ্ছে ঈমানদার মুসলমানের নবী(দঃ)প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। যুগে যুগে সাহাবায়ে কেরাম,তাবেঈন, তবে তাবেঈন, অলি-আউলিয়াগণ এ জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(দঃ) উদযাপন করেছেন এবং মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এটি ইসলামী সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংগ। তিনি বলেন, যারা এর বিরোধীতা করেন তারা মুসলমান নামধারী মোনাফেক। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.