তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ দেশে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার (মিয়ানমারের নাগরিক) সংখ্যা কত, তা বের করতে ছয় জেলায় শুমারি শুরু হচ্ছে। শুমারিতে রোহিঙ্গাদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাঁদের ছবিও তোলা হবে।
তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পটুয়াখালী জেলায় ও এ শুমারি করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুমারি কার্যক্রমের আলোকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) গণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রাঙামাটি জেলা পরিসংখ্যানের তথ্যমতে ১২ ফেব্রুয়ারী থেকে রাঙামাটির ১০টি উপজেলা, ৫০টি উইনিয়নে এ রোহিঙ্গা শুমারি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে। রাঙামাটি জেলাকে ২৩টি জোনে ভাগ করে ৩৫৫জন গননাকারী ও ৩৬ সুপারভাইজারের মাধ্যমে এ শুমারি গননার কাজ করা হবে। প্রতিটি জোনে একজন করে জোন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আর এ শুমারি কার্যক্রম চলবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্র আরও জানায়,পার্বত্যাঞ্চল সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে অনেক মিয়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) দীর্ঘ বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা যত্রতত্র বাসস্থান গড়ে তোলায় বনভূমি ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো ও জীবিকার জন্য বিভিন্ন সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠীর প্রলোভনে পড়ে তাঁদের অনেকে বিভিন্ন অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে।
রাঙামাটি রোহিঙ্গা গননাকারী ফারহানা ইয়াছমিন জানান, তিনি রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোহিঙ্গা গননার কাজ করছেন। তিনি জানান, শুমারিতে অনেকে তাদের তথ্য দিতে চাচ্ছেননা, আবার অনেক রোহিঙ্গা পরিবার খুশি হয়েছেন শুমারি কার্যক্রম শুরু হওয়ায়।
রাঙামাটি পরিসংখ্যানের ২নং জোনের শুমারি সমন্বয়কারী মো. সাইদুল হক জানান, রাঙামাটিতে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ারমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) শুমারি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলার ১০টি উপজেলায় ৬দিনের মধ্যে গণনা কার্যক্রম শেষ করা হবে। এগননার মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়, অবৈধভাবে বসবাস করছে। তাদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওয়তায় আনা হবে।
তিনি আরও জানান, যেসব রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত পরিচয়পত্র থাকবে, তাদের আইওএমের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা, নিজেদের মাতৃভাষায় পড়ালেখার জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা ও আইনী সহায়তাসহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। আর বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিকরা এসব সুযোগ সুবিধা পাবে না। তার অবৈধ বলে গণ্য হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.