বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে পাচার হওয়া ১১ আদিবাসী শিশুকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার দুপুরে মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সহায়তায় উদ্ধার করে তাদেরকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে মায়ানমারের মংডুর একটি বৌদ্ধ বিহারে রাখা হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা হল, হ্লাথুই প্রু মার্মা, সোজো মার্মা, পাইনুচিং মার্মা, সিংদাইউ মার্মা, থুইয়ো মার্মা, ম্যামাচিং মার্মা, মংজাই মার্মা, ম্যচিংনু মার্মা, নুনয়েক্রো মার্মা, মেথুইচিং মার্মা, সানুচিং র্মামা। এদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়। অন্যরা রোয়াংছড়ি উপজেলার।
পুলিশ জানায়, গেল ১১ মার্চ রোয়াংছড়ি থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামী করা হয় রাঙামাটি মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উ ছি রি ভান্তেকে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটককৃত বৌদ্ধ ভিক্ষুর স্বীকারোক্তিতে পাচার হওয়ার ১১ আদিবাসী শিশুর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর বান্দরবান ডিবি পুলিশের ওসি মনজুরের নেতৃত্বে মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে যোগাযোগ করে। তাদের কাছ থেকে সহায়তায় চাওয়া হয়। এতে বিজিপি’র সহায়তায় পাচার হওয়া শিশুদের উদ্ধার করে বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়ে আসা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি মনজুর জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে ডিবি পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামে। রাঙামাটির মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উ ছি রি ভান্তে ১১ শিশুকে মায়ানমারের মংডুতে পাচার করে। মংডুর নাইতাডং পাড়া বৌদ্ধ বিহারের শিশুদের সেখানে রাখা হয়। শিশুদের উদ্ধারে মায়ানমারের বিজিপি’র সহায়তা চাওয়া হয়।
তাদের সহযোগিতায় শনিবার নাইক্ষ্যংছড়ির উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে শিশুদেরকে এপারে নিয়ে আসা হয়। এরপর বান্দরবান সদরে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়। শিশুদের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের তাদের অভিভাবকদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.