রাঙামাটির কাউথখালী উপজেলার কাউখালী ডিগ্রী কলেজের এক ছাত্রীকে উক্ত্যক্ত করায় বাপ্পি চন্দ্র দাস(২০) কে বুধবার এক বখাটে ভ্রাম্যামান চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।
জানাগেছে, কাউখালী উপজেলার কাউখালী ডিগ্রী কলেজের একছাত্রী বুধবার সকালের দিকে কলেজে যাওয়ার পথে উপজেলা সদরের সাঁকো এলাকায় বাপ্পি ওই ছাত্রীর গতিরোধ করে অশ্লীল আচরণ ও গালমন্দ করে। এসময় বখাটে বাপ্পী বিষয়টি কাউকে জানালে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। এতে ছাত্রীটি ভয়ে কলেজের তিন সহপাঠিকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতারকে জানায়। পরে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বাপ্পিকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। এতে ভ্রাম্যমান আদালত ছাত্রীটি ও স্থানীয়দের জবানবন্দি ও আটককৃত বাপ্পি দাসের স্বীকারোক্তিতে দন্ডবিধির ৫০৯ ধারায় (ইভটিজিংয়ের দায়ে) অভিযুক্ত করে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। আটকের পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এসময় বাপ্পি নিজেকে কাউখালী কলেজের ছাত্র দাবী করলেও রোল নম্বর ও কলেজের পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। তবে কাউখালী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের এ দাবী নাকচ করেদেন। তবে তিনি অভিযোগ করেন বখাটে বাপ্পিকে কলেজের ছাত্রীদের উক্ত্যক্ত করায় একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাপ্পি উপজেলার বেতছড়ি পাইনবাগান এলাকায় দুরসম্পর্কের এক আত্ত্বীয়ের সুত্রে কাউখালীতে যায় বছর চারেক আগে। তার বাবা দুলাল চন্দ্র দাস স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চাকুরে। সে উপজেলা সদরের পোয়াপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখা থেকে তিনবারের চেষ্টায় এসএসসি পাশ করেছে। বখাটেপনার জন্য ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও দুইবার বহিস্কার হয়েছিল। নিয়ন্ত্রনে করতে না পেরে স্কুল শাখা ছাত্রলীগ থেকেও তাকে বহিস্কার করা হয়েছে বছরখানেক আগে। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসী অন্তত দশবার সামাজিক বৈঠক করে নানান অপরাধের বিচার শেষে তাকে কাউখালী থেকে বিতাড়িত করে। সর্বশেষ সোমবার বাপ্পি আবারো কাউখালীতে গিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে অবস্থান নেয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.