হিল উইমেন্সফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এবং তদন্তের নামে প্রহসন ও কালক্ষেপনের প্রতিবাদে শুক্রবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মিনাকি চাকমার স্বাক্ষরিত প্রেস বার্তায় বলা হয়,হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নগরীর চেরাগী মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা।
বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, অপহৃতার বড় ভাই কলিন্দী কুমার চাকমা। এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের নগর সাধারণ সম্পাদক আসমা আক্তার, নারী সংহতি নগর সভাপতি ইকরামুন্নেছা(চম্পা), গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম সমন্বয়ক হাসান মারুফ (রুমী), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংগঠক সামিউল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন’র নগর সভাপতি লোকেন দে।
তাছাড়া সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, প্রতিরোধ সংস্কৃতিক স্কোয়ার্ড’র সভাপতি জ্ঞান কীর্তি চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিল চাকমা, আদিবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রনেল চাকমা। সভা সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিনা চাকমা।
সমাবেশ শেষে চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নন্দনকানন হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তদন্তের নামে কালক্ষেপন না করে, অবিলম্বে কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারী সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে অপহরণ পরবর্তী সঠিক ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য সরকারে কাছে জোর দাবি জানান। পাশাপাশি একই সাথে তনুসহ পাহাড় ও সমতলে সকল নারী ধর্ষণ ও ধর্ষণের পরবর্তী হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, শাসক শ্রেণী পাহাড়িদের ধ্বংসের জন্য প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে চলেছে। পাহাড়িদের ভূমি অধিকার স্বীকৃতি না দিয়ে উন্নয়নের নাম করে পর্যটন কেন্দ্র, মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে তাদের বসত-ভিটা কেড়ে নিচ্ছে। পাহাড়ের ন্যায় সমতলের সাধারণ জনগণও নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দেশের কোথাও না কোথাও নির্বিচারে মানুষ খুন হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে এই সব খুনের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
সমাবেশে অপহৃত কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা আবেগ-আপ্লুত কন্ঠে বলেন, এই পর্যন্ত ২০ বছরে অনেক তদন্ত কমিটি হওয়ার পরও কোন তদন্ত কমিটি তার ছোট বোন কল্পনা চাকমার হদিসের ব্যাপারে সঠিক তথ্য জনসম্মুখে উপস্থাপন করতে পারেনি, যা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জ্বাজনক। তিনি অবিলম্বে চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.