কক্সবাজার শহরে উইমাতারা বৌদ্ধ মন্দিরের প্রবীণ বৌদ্ধ ভিক্ষু উ পাঁই দিত্ত্বা ভিক্ষুকে (৭৭) কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনার মূল হামলাকারীকে বান্দরবানের লামা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লামা থানার পুলিশের সহায়তায় কক্সবাজার থানার পুলিশ লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে দরদরী সুনন্দ বৌদ্ধ বিহার থেকে মূল হামলাকারী ভিক্ষু মংয়াইন রাখাইন(৪৭)কে গ্রেফতার করে বুধবার রাতেই কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গেল ১৩ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের বৌদ্ধ মন্দির এলাকার ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার শহরের উইমাতারা বৌদ্ধ মন্দিরের প্রবীণ বৌদ্ধ ভিক্ষু উ পাঁই দিত্ত্বা ভিক্ষুকে (৭৭) কুপিয়ে ও পিঠিয়ে জখম করেছেন তারই অনুসারী ভিক্ষু মংয়াইন রাখাইন। গুরুতর আহত প্রধান ভিক্ষুকে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে আহত ভিক্ষু চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শহরের উইমাতারা বৌদ্ধ মন্দিরের প্রবীণ বৌদ্ধ ভিক্ষু উ পাঁই দিত্ত্বা ভিক্ষুকে(৭৭) কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তারই অনুসারি ভিক্ষু মং য়াইন রাখাইন। তিনি হামলা করে পালিয়ে যান। পুলিশ বিভিন্ন মাধ্যমে তার অবস্থান জানতে পেরে লামা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ২টায় লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী সুনন্দ বৌদ্ধ বিহার থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান গেল বুধবার রাতে মন্দিরের সভাপতি বাদী হয়ে ভিক্ষু মংয়াইন রাখাইনকে (৪৭) আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন(মামলা নং-২২, ১৩ জুলাই ২০১৬)। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে, বৌদ্ধ মন্দিরের জমি বিক্রির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও বর্তমানে লামা থানার দায়িত্বরত অফিসার জাহেদ নূর বলেন, বুধবার রাত ১২ টার পর থেকে পুলিশ লামা থানা ও কক্সবাজার থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। রাত প্রায় ২টার দিকে তাকে লামার দরদরী সুনন্দ বৌদ্ধ বিহার থেকে আটক করা হয় এবং কক্সবাজার থানার পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.