শিশু ও নারী নির্যাতন মামলায় শুক্রবার রাঙামাটিতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন মো.সোলাইমান (২৪) ও আবদুল খালেক।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে জেলার লংগদু উপজেলার ৬নং মাইনী মূখ ইউ পির মুসলিম ব্লক গ্রামের মোঃ শাহ আলমের ছেলে মো.সোলাইমান (২৪) দুই বছর আগে মমতাজ বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সোলাইমান যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে মমতাজকে নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি থেকে মমতাজ তার স্বামীকে এক লক্ষ টাকা এনে দিলে সেই টাকা দিয়ে সোলাইমান একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ক্রয় করে।
কিছু দিন পরে আবার তার স্বামী যৌতুকের জন্য মমতাজকে নির্যাতন শুরু করে এক পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাত আনুমানিক ১টার দিকে ঘাতক স্বামী ঘরের খুটির সাথে মমতাজকে বেঁধে প্রচন্ড মারধর করে এবং আবারো বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য বলে আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধম মারধর করে। পরে পার্শ্ববর্তী লোক জন এসে মমতাজকে উদ্ধার করে প্রথমে লংগদু থানায় নিয়ে যায় পরে হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে মমতাজ রাঙামাটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন।
মমতাজ দাবী করে জানান,বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী সোলাইমান ও শ্বশুর শাশুরি, দেবর, নন্দ সবাই মিলে প্রতিনিয়ত যৌতুকের দাবি করে।এ সবের তার বাবার হাতে পায়ে ধরে মোটরসাইকের কিনে দেওয়ার জন্য একলক্ষ টাকা এনে দেন।
তার পরেও আবারো যৌতুকের টাকা দাবি করে এক পর্যায়ে আমাকে বেধম মারধর করে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে প্রথমে লংগদু থানায় এবং পরে আদালতে মামলা করেছেন। তিনি সোলাইমানের সুষ্ঠু বিচার হলে দেশ থেকে নারী নির্যাতন মুক্ত হবে বলে জানান।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মমিনুল ইসলাম জানান, স্বামী বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য মমতাজের মারধর করতেন। বর্তমানের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন। শুক্রবার সোলাইমানকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
অপরদিকে,কাপ্তাই উপজেলা থেকে আবদুল খালেক নামের এক নারী নির্যাতনকারি ও যৌতুক লোভীকে আটক করেছে কাপ্তাই থানা পুলিশ।
কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রঞ্জন সামন্ত জানান,যৌতুক মামলার ৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আবদুল খালেক (২৮) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.