পার্বত্য জনসংহতি সমিতির(জেএসএস) বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি উছোমং মারমাকে গ্রেফতার এবং সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের প্রতিবাদে সোমবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত উছোমং মারমাকে বিনাশর্তে মুক্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন তথা সরকার দায়ী থাকবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে জেএসএস’র জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সুবর্ণ চাকমা। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে দেন জেএসএস’র কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক চিংহ্লা মং চাক,কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহ-সম্পাদক সজীব চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা,পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বাচ্চু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সাধারন সম্পাদক জোনাকী চাকমা, অরুন ত্রিপুরা প্রমুখ।
এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল জেএসএস’র জেলা শাখার কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বনরুপা ঘুরে গিয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, জেসএসএ’র কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সহ-সম্পাদক সজীব চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়েছে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেএসএস’র বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি উছোমং মারমাকে বান্দরবান সদরের কালাঘাটাস্থ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গত ১৩ জুন রাজভিলায় আওয়ামীলীগের সদস্য মংপু মারমার অপহরণ ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়িত করে জেএসএস ও তার সহযোগী সংগঠনের ৩৮ জন সদস্যের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় উছোমং মারমাসহ জেএসএস’র ১০ জন নেতাকর্মী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন লাভ নেন। জামিন পেয়ে রোববার উছোমং মারমা বান্দরবানের বাড়িতে পৌঁছলে আরেকটি নতুন চাঁদাবাজি মামলায় জড়িয়ে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ষড়যন্ত্রমূূলক চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করার পূর্বেই উছোমং মারমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুসারে মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.