• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক পরিষদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভা                    দরপত্র বিজ্ঞপ্তি                    রাঙামাটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত                    বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রইফের সমাধিতে বিজিবির মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন                    রাঙামাটিতে টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ                    পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান                    আগামী ক্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে জেএসএস অংশ নিচ্ছে                    রাঙামাটিতে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মামিষ্টদের কর্মবিরতি পালন                    ৯৯নং রাঙামাটি আসনের বিএনপির প্রার্থী দীপেন দেওয়ানের মতবিনিময় সভা                    নবাগত জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফীর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়                    শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার থেকে ৩৬ ঘন্টার হরতাল                    তরুণ কবি ম্যাকলিন চাকমার একগুচ্ছ কবিতা                    সাজেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফের চালুতে স্বস্তি                    চ্যাম্পিয়ন বিলাইছড়ি রাইংখ্যং একাদশ                    ফেন্সি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস’র রাঙামাটিতে গ্র্যান্ড ওপেনিং                    বিলাইছড়িতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উদযাপিত                    খাগড়াছড়ির অনন্য এক প্রাথমিক শিক্ষক রুপা মল্লিক,যাঁর পথচলার বাঁকে বাঁকে শ্রম আর সাফল্য                    পরবর্তী বাংলাদেশের এনসিপি নেতৃত্বে দেবে-হাসনাত আবদুল্লাহ                    রাঙামাটিতে তিন দিনের সাবাংগী মেলার উদ্বোধন                    চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা                    বিলাইছড়িতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন                    
 
ads

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ গ্রন্থের ইংরেজী ও বাংলা সংস্করণ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন
পার্বত্যাঞ্চলের আইনসমূহ সংস্কার করা হলে আইনের ক্রুটি বিচ্যুতি নিরসন হবে-বিচারপতি নিজামুল হক

স্টাফ রিপোর্টার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 12 Nov 2016   Saturday

শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সালের আইনের ইংরেজী ও বাংলার (দ্বিতীয় সংস্করণ) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক বলেছেন,সময়ের বিবর্তনে পার্বত্যাঞ্চলের পুরোনো আমলের আইনসমূহ সংস্কার করে তা যুগোপযোগী করা হলে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠা পাবে তেমনী আইনের ক্রুটি বিচ্যুতিগুলো নিরসন সম্ভব হবে। তিনি এ পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টের দেয়া পার্বত্য অঞ্চলে আইনের আলোকে নিষ্পত্তি হওয়া সকল মামলার রায়সমূহ একত্রিত করে গ্রন্থ আকারে প্রকাশের জন্য পরামর্শ দেন।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সন্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সন্মেলন কক্ষে এএলআরডি ও জেলা আইনজীবি সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি জেড আই খান পান্না প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সালের আইনের বইয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্যে দেন চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবশীষ রায়। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন রাঙামাটি জেলা জজ মোঃ কাউসার, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি প্রতীম রায় পাম্পু। অনুষ্ঠানে তিন পার্বত্য জেলার আইনজীবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় ও আইনজীবি প্রতিকার চাকমার সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সালের আইনের ইংরেজী ও বাংলার(দ্বিতীয় সংস্করণ) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।


সভাপতির বক্তব্যে সন্তু লারমা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসন ব্যবস্থার লক্ষে ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। কিন্তু পার্বত্য চুক্তির ১৮ বছর অতিবাহিত হলে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনকে এখনো কার্যকর করা হয়নি, অবহেলিত উপেক্ষিত করে রাখা হয়েছে। এ কারণে এ অঞ্চলের বিচার বিভাগের আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের যে ভূমিকা রয়েছে তা করতে পারছে না। পার্বত্য চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের বিচার বিভাগের যে সমস্ত অসংগতি রয়েছে সেগুলো দুর করা ও সংশোধন করা সম্ভব হবে।

 

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অসংখ্য সমস্যা বিরাজমান রয়েছে। যার নিরসনের একমাত্র নির্ভর করছে এ অঞ্চলের সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা ও গণমুখী শাসন ব্যবস্থা। কিন্তু এ অঞ্চলে দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে সেনা শাসন চলার কারণে এখানকার আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা গণমুখী হতে পারছে না। যেখানে সেনা শাসন রয়েছে সেখানে বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আঞ্চলিক পরিষদ,জেলা পরিষদ, প্রথাগত নেতৃত্ব সার্কেল চীফ, হেডম্যানরা কি করবে।


হাই কোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের আইন সমূহ জীবন্ত, সার্থক ও কার্য উপযোগী কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এজন্য এসব আইনের সংশোধন প্রয়োজন । আর এইসব আইনের অসম্পূর্ণতা পুরণ করে সময় উপযোগী করা দরকার।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ