• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
চ্যাম্পিয়ন বিলাইছড়ি রাইংখ্যং একাদশ                    ফেন্সি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস’র রাঙামাটিতে গ্র্যান্ড ওপেনিং                    বিলাইছড়িতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উদযাপিত                    খাগড়াছড়ির অনন্য এক প্রাথমিক শিক্ষক রুপা মল্লিক,যাঁর পথচলার বাঁকে বাঁকে শ্রম আর সাফল্য                    পরবর্তী বাংলাদেশের এনসিপি নেতৃত্বে দেবে-হাসনাত আবদুল্লাহ                    রাঙামাটিতে তিন দিনের সাবাংগী মেলার উদ্বোধন                    চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা                    বিলাইছড়িতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন                    কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু                    কাউখালী বেতবুিনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত                    রাঙামাটি রাজ বন বিহারে দুদিনের কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন                    রাঙামাটির রাজবন বিহারে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু                    বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন ব্যাপী শুরু হচ্ছে রাজ বনবিহারে ৪৯তম কঠিন চীবর দান                    রাঙামাটির সীমান্তবর্তী দুর্গম হরিণায় বিজিবির মানবিক সহায়তা                    বিলাইছড়িতে প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক                    বিলাইছড়িতে বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে ডিপিও                    বিলাইছড়িতে ২২ লিটার মদসহ আটক ১                    কাপ্তাই হ্রদ খননে পরিকল্পনা নেওয়া হবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা                    রাঙামাটির বিএফডিসির বেহাল অবস্থায় দেখে হতাশা প্রকাশ মৎস্য উপদেষ্টার                    জুরাছড়ির ধামাইপাড়া বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন                    কাউখালীতে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় নিহত ১: আহত ১                    
 
ads

রাঙামাটিতে দুইদিনের আদিবাসী লেখক সম্মেলনের উদ্ধোধন
পার্বত্য চুক্তিতে উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চলের স্বীকৃতি থাকলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি-সন্তু লারমা

স্টাফ রিপোর্টার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 25 Nov 2016   Friday

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের জন্য ভাষা ও অস্তিত্বকে সংরক্ষনের পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে স্বীকৃতি লাভ করেছে উল্লেখ করে বলেছেন, এদেশের সরকার তথা শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলকে উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চলের স্বীকৃতি দিয়েছে।

 

যদিও ব্রিট্রিশ আমলে দেয়া উপজাতীয় শব্দটি আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সেই স্বীকৃতি সরকার তথা শাসকগোষ্ঠী এখনো তার বাস্তবায়ন ও কার্যকর করেনি। পার্বত্যাঞ্চলের ১৪টি জাতিসত্বারা তাদের নিজস্ব জীবন ধারা ও আত্নপরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু সরকার তথা শাসক গোষ্ঠী তা হতে দিচ্ছে না।

 

তিনি আরো বলেন, সংবিধানে এই অঞ্চলের ১৪টি জাতিসত্বাদের পরিচয় করা হয়েছে যে আমরা বাঙ্গালী। অথচ আমরা কেউই বাঙালী নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব জাতিসত্বাদের তাদের নিজস্ব জাতীয়তার পরিচয়, তার নিজস্ব জীবনধারার পরিচিতি রয়েছে। তাহলে সেই বাঙালী হতে যাবে কেন? কিন্তু সরকার তথা শাসক গোষ্ঠী তাই করেছে। আবার সেই সংবিধানকে দ্বিখন্ডিত করে আমাদেরকে ভিন্ন নামে পরিচিতি দিতে চায়।


শুক্রবার রাঙামাটিতে দুইদিন ব্যাপী দ্বিতীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সন্মেলনের উদ্ধোধন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ। আদিবাসী লেখক ফোরামের সভাপতি শিশির চাকমা সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমীর পুরুস্কার প্রাপ্ত লেখক প্রভাংশু ত্রিপুরা, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের লেখক ক্রায়োরি মং চৌধুরী, গৌতম লাল চাকমা, ত্রিপরা রাজ্যের লেখক এ্যাডভোকেট মঙ্গল দেব বর্ম, বান্দরবানের লেখক জিংপু সাগু। সম্মেলনে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি বান্দরবানসহ ত্রিপুরা রাজ্যের দুই শতাধিক লেখক ও কবি অংশ গ্রহন করেন।


এর আগে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে দ্বিতীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ।


বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন চলছে দাবী করে সন্তু লারমা তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভিন্ন ভাষাভাষি জনগোষ্ঠীর বসবাস থাকলেও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এখানে নিজেদের অভিমত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। তারপরও পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৬ বছর ধরে সেনা শাসনের মধ্য এই কলম যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বিশাল বড় ব্যাপার। সেই সেনা শাসনের মধ্য থেকে আজকে যারা নিজেদের অধিকারের জন্য লেখালেখি করে অধিকারের কথা বলছেন তারা অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। কারণ তারা সংগ্রাম করছেন। প্রত্যেকে তারা সংগ্রামকে শানিত করছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জাতিকে আতœনিয়ন্ত্রাধিকার অধিকারকে উজ্জীবিত করছেন।


তিনি বলেন, এক সময় চাকমা, বোমাং ও মং রাজারা তাদের নিজস্ব ভাষা দিয়ে রাজত্ব করেছেন। কিন্তু এখন সেই বাস্তবতা নেই বলে সেই ভাষার পরিবর্তে অন্য ভাষা এসেছে। তবে ভাষার জন্য কাজ করতে হবে। যাতে ভাষা হারিয়ে না যায়।


সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়,বন ও জীব বৈচিত্র্য নিয়ে আমাদের জীবন। কিন্তু সেই পাহাড় ও জীব বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে,বন যদি উজাড় হয়ে যায়, জীববৈচিত্র্য যদি হারিয়ে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও জীবন ধারাও হারিয়ে যাবে।


তিনি আদিবাসী লেখকেদের পার্বত্য চট্টগ্রামের সাহিত্যকে উজ্জীবিত রেখে সাহিত্যকে পরিমার্জিত করার জন্য ও সাহিত্যকে উন্নত করতে লড়াই-সংগ্রাম, আত্ননিয়ন্ত্রনাধিকার ও সুশাসন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি এই আদিবাসী জুম্ম সাহিত্য ও সংস্কৃতি যাতে পার্বত্য ভূমির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে এগিয়ে গিয়ে সম্প্রসারিত হয় এবং সেতুবন্ধন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ