দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচীতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর ে হামলা, গুলি, আটক, মিথ্যা মামলা ও ধরপাকড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
সোমবার গণতান্ত্রিক যুব ফোরামকেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা ভূমি সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তরিক রয়েছে বলে গালভরা কথা বললেও বিজিবি ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য যত্ন কুমার ও শশী ভূষণ কার্বারী পাড়া থেকে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে। বর্তমানে তারা জায়গা-জমি ও বসতভিটা হারিয়ে নিজ দেশে শরণার্থীর মতো মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকার ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তি মোতাবেক পুনর্বাসন না করে নিরাপত্তাবাহিনী-সেটলার-এর মাধ্যমে তথাকথিত উন্নয়ন ও নিরাপত্তার অজুহাতে পাহাড়িদের নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করে চলেছে।
প্রেস বার্তায় দীঘিনালার যত্ন কুমার ও শশী মোহন কার্বারী পাড়া থেকে উচ্ছেদকৃত ভারত প্রত্যাগত ২১ পরিবারকে নিজ বাস্তুভিটায় পুনর্বাসন করার দাবিতে ভূমি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে রোববার শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচীতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর হামলা ও গুলি বর্ষন, অংশগ্রহণকারীদের আটক করে মিথ্যা মামলায় জড়িত করা এবং ধরপাকড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় অবিলম্বে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দীঘিনালা থানা শাখার নেত্রী লিলু চাকমাসহ পদযাত্রার দিন আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ধরপাকড় বন্ধ করা, শশী মোহন কার্বারী পাড়া থেকে বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর অন্যত্র স্থানান্তর ও উচ্ছেদকৃত ভারত প্রত্যাগত ২১ পরিবারকে নিজ নিজ বাস্তুভিটায় পুনর্বাসনের জোর দাবি জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.