খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযােগে পুলিশ ফজলুর রহমান(২৬) নামের এক জনকে আটক করেছে। সে ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির রসুলপুর গ্রামের মোঃ সহিদ খানের ছেলে। সে ভাড়ায় চালিত একজন মোটরসাইকেল চালক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পানছড়ি উপজেলা ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির মোল্লাপাড়া গ্রামের এক কিশোরীর সাথে রসুলপুর গ্রামের ফজলু ছদ্মনাম লিটন ব্যবহার করে বিগত ৫/৬ মাস ধরে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। কিশোরীর মাবাবা জঙ্গলে লাকড়ি কাটার জন্য বের হওয়ার সুযোগে তাদের প্রেমালাপ চলত। এরই মাঝে ফজলু জানতে পারে কিশোরীর বাবার পালিত দুটি গরু বিক্রি করেছে। টাকার লোভে কথিত প্রেমিক ফজলু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে গরু বিক্রির টাকা ও জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হতে বলে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কিশোরীর মাবাবা পার্শ্ববর্তী বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে ঘরে রক্ষিত ৮০ হাজার টাকা ও জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে কিশোরীটি ফজলুর সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। কিস্তু ফজলু রাতের অন্ধকারে মোটরসাইকেলযোগে কিশোরীকে বটতলা টিলা নামক স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ভোর ৪টার দিকে ফজলু মোটর সাইকেল দিয়ে পানছড়ি বাজার এলাকায় কিশোরীকে রেখে ৮০ হাজার টাকা ও ৫ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে কিশোরীটি থানায় গিয়ে থানায় বিস্তারিত জানায়। তবে ফজলু ছদ্মনাম হিসেবে লিটন নাম ব্যবহার করায় পুলিশ তাকে আটক করতে বিপাকে পড়ে যায়। অবশেষে বিকালে পানছড়ি বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে ফজলু বাজারে গেলে কিশোরী তাকে সনাক্ত করে এবং ওৎপেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে কিশোরীরা মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পানছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। (পানছড়ি থানার মামলা নং-০২, তারিখ ২৬/৮/২০১৫ ইং।)।
পানছড়ি থানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আব্দুল জব্বার জানান, গ্রেফতারকৃত ফজলু মৌখিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কথিত প্রেমিকের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে বলে জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.