খাগড়াছড়ির রামগড়সহ চার উপজেলায় চলমান কম্বিং অপারেশনের নামে গণহয়রানি, নির্যাতন ও ঘেরাও-তল্লাশী বন্ধের দাবি জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ৪টি সংগঠন।
বুধবার গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রিপন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় অভিযোগ করে বলা হয়,গত ৩০ আগস্ট রাত থেকে রামগড়, মাটিরঙ্গা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় একযোগে অপারেশন চালানো হচ্ছে। উক্ত এলাকায় সম্প্রতি ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে সাধারণ পাহাড়িরা সংগঠিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পর ভীতি-সন্ত্রাস সৃষ্টি ও তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধকে দুর্বল করে দেয়ার লক্ষ্যে এই অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রেস বার্তায় অপারেশনের নামে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি-নির্যাতন ও বাড়িঘরে তল্লাশীকে দেশের সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী আখ্যায়িত করে আরও বলা হয়, ‘ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা কোন অপরাধ হতে পারে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িরা তাদের জমি নিয়ে সুখে শান্তিতে বাস করতে চায়। সরকারের দায়িত্ব ভূমি বেদখল প্রতিরোধ করা ও ভূমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু সরকার বার বার সেটা করতে ব্যর্থ হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখলের ঘটনা বেড়ে চলেছে। প্রেস বার্তায় দৃষ্টান্ত হিসেবে হয়রানি ও নির্যাতনের কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হয়।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বলে প্রেস বার্তায় বলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.