বিশ্ব জনসংখ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার চিত্ত রঞ্জন পাল, জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বেগম শাহান ওয়াজ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগীদের সেবা প্রদানে অবদান রাখায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মাননা সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
এর আগে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন,দেশের বিরাট একটি অংশ হচ্ছে নারী এই নারীদের বাদ দিয়ে সমাজ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, কিশোরী মেয়েদের পরিপূর্ণ বিকাশ ও ক্ষমতায়নের প্রেক্ষাপট তৈরি করলে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা খুবই জরুরী। কিশোরীদের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। মানসম্মত শিক্ষা একজন মা’কে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলে, যা পরবর্তী সময়ে তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননত্রেী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত নারী আসন রেখেছেন। যাতে করে দেশের উন্নয়নে নারীদের ভুমিকা থাকে। নারীদের শিক্ষাখাতে, লেকটেটিং মাদার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে এই সরকার যা অন্য কোন সরকার এতো সুযোগ সুবিধা প্রদান করেনি। তিনি ডাক্তার ও সেবিকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে গর্ভবতি ও অন্যান্য রোগিদের মাতৃ স্নেহে সেবা প্রদান করতে হবে। কারণ আজকে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করবে সে আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিষয় ও স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রচার প্রচারনা শুধু জেলা ও শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রত্যান্ত অঞ্চলের তৃণমূল মানুষদের কাছে পৌছাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি আমাদের সচেতন মহলদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি সীমিত রেখে বর্তমান জনসংখ্যাগুলোকে জনসম্পদে রুপান্তরিত করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.