সোমবার থেকে রাঙামাটিতে সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। আগামী ৮ আগষ্ট পর্ষন্ত এ মেলা চলবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বন বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষ মেলার উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সার্কেল বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সামসুল আজম, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত (অপরাধ)পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমা, রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন। মেলায় ২০টি ষ্টলে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধন বৃক্ষের রকমারি গাছের চারা বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছে।
এর আগে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি পৌরসভা চত্তর থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম শুরু করা দরকার। সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসলেও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অসহযোগিতার কারণে এ কর্মসূচী শুরু করা যায়নি। তিনি আরো বলেন, শুধু বনায়ন নয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অসহযোগিতার কারণে প্রতিকুলতার সম্মূক্ষীণ হতে হচ্ছে।
তিনি এ ধরনের নৈতিবাচক মনোভাব পরিহার করে উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগাতে হবে। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য বৃক্ষের গুরত্ব অপরিসীম। বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, ফলে দেশে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.