• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
রাবিপ্রবি’তে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত                    পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয় মাসে ১০৩টি মানবধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে                    কাপ্তাইয়ে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই                    জুরাছড়িতে এসডিজির স্থানীয়করণ এবং ত্বরানিত লক্ষে কর্মশালা                    আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাম্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না                    রাঙামাটিতে সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি`র নির্মানাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া                    রাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন                    রাঙামাটিতে এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক                    বিলাইছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন                    রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২তম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’তে পরিকল্পিত বনায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সনাক-টিআইবি’র অ্যাডভোকেসি সভা                    খাগড়াছড়িতে বীর শহীদদের প্রতি আরাফাত রহমান কোকোর ক্রীড়া পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলী                    সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি                    পাহাড়ে খড়ের পরিবর্তে শুকনা কলা পাতায় মাশরুম চাষে সাফল্য                    লংগদুতে গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক যুবক আটক                    পাহাড়ে হাতি ও মানুষরে দ্বন্দ্ব কমছে                    রাঙামাটিতে ৮৫ হাজার ৮৬০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে                    শিশুর যৌন নির্যাতনকারী দাদুকে আটক করেছে পুলিশ                    
 
ads

সংশোধনীর পরও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন এখনো অগণতান্ত্রিক-ইউপিডিএফ

ডেস্ক রিপোর্ট : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 13 Aug 2016   Saturday

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সংশোধিত আইে মৌলিক ও উল্লেখযোগ্য কোন সংশোধনী আনা হয়নি। বরং মূল আইনের অগণতান্ত্রিক চরিত্রই অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে। যা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যা সমাধানে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবকেই নগ্নভাবে প্রতিফলিত করে।

 

শনিবার  ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা এসব মন্তব্য করেন।

 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বার্তায় বলা হয়, ২০০১ সালের মূল আইনে “চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।” এতে ব্যাপক প্রতিবাদ, সমালোচনা ও আন্দোলনের পর সরকার ২০১২ সালে উক্ত ধারাটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশোধন করে উল্লেখ করে “চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের গৃহীত সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।” এর চার বছর পর অধ্যাদেশ আকারে জারি করা নতুন সংশোধনীতে কেবল “সংখ্যাগরিষ্ঠ” শব্দের আগে “উপস্থিত” শব্দ যোগ করা হয়েছে মাত্র।

 

ফলে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে চেয়ারম্যানের সম্মতি বাধ্যতামূলক করার কারণে আইনটি আগের মতোই অগণতান্ত্রিক থেকে যাচ্ছে। এতে কমিশনে এক ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতার জন্ম দেবে এবং বাস্তব কার্যক্ষেত্রে অচলাবস্থা সৃষ্টি করবে। আর এ ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে তা নিরসনের পন্থা বা ম্যাকানিজম কী হবে ভূমি কমিশন আইনে কোথাও তার উল্লেখ নেই। এক কথায় কমিশন আইনের ৭(৫) ধারা সংশোধনের পরও এর ইতিবাচক অগ্রগতির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়েছে।

 

প্রেস বার্তায় ইউপিডিএফ  বলেন, ‘কমিশনের কার্যাকলী ও ক্ষমতা সংক্রান্ত উক্ত আইনের ধারা ৬ উপধারা (১) এর দফা (ক) সংশোধন করে বলা হয়েছে “পুনর্বাসিত শরণার্থীদের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং অবৈধ ভূমি বন্দোবস্ত ও বেদখল হওয়া ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা।” অধ্যাদেশ জারী করে সংশোধনের পরও এই উপধারাটি এখনো অত্যন্ত অস্পষ্ট থেকে গেছে।

 

“পুনর্বাসিত শরণার্থীরা” ছাড়া আরও যে সব পাহাড়ি জমি হারিয়েছেন বা যে সব পাহাড়ির ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তারাও এই উপধারার অন্তর্ভুক্ত হবেন কিনা তা সুস্পষ্ট ভাষায় বলা হয়নি। তাছাড়া “প্রচলিত আইনের” ব্যাখ্যা ২(ছ) ধারায় দেয়া হলেও “রীতি ও পদ্ধতির” ব্যাখ্যা কমিশন আইনের কোথাও দেয়া হয়নি। অধ্যাদেশেও এ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। ফলে আইনটির বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।’

 

গেল ১ আগস্ট সরকারের মন্ত্রী সভায় অনুমোদনের পর গত ৯ আগস্ট জারী করা উক্ত অধ্যাদেশে ১৪টি সংশোধনী আনা হলেও দু’ একটি বাদে অধিকাংশ সংশোধনী অগুরুত্বপূর্ণ ও ছোটখাট বিষয় সম্পর্কিত এবং এতে সংশোধনী বিষয়ে ইউপিডিএফের প্রস্তাব ও জনগণের দাবি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে বলে প্রেস বার্তায় অভিযোগ করা হয়েছে।

 

প্রেস বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের স্বার্থে সংবিধানে প্রথাগত ভূমি আইনের স্বীকৃতি প্রদান, ভূমি কমিশন আইনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি’র যথাযথ ব্যাখ্যা, ৭(৫) ধারাকে পুরোপুরি গণতান্ত্রিক করা এবং ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির শুনানিতে হেডম্যান ও কার্বারীদের লিখিত মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে।

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ