রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে সরকারী মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় তিন তলা ভবন ধ্বসের ঘটনায় বুধবার সকালের দিকে আরো এক শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাড়াল ৫ জনের।
এদিকে, ধ্বসে পড়া ভবনে আর কোন লোকজন আটকে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে নিশ্চিত হওয়ার পর সকাল সাড়ে ৮টয় তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন তলা ভবনের ধ্বসে পড়ার পর থেকে নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস,সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল রাত দেড় পর্ষন্ত উদ্ধার অভিযান চালান। ভবনে আরো আটকে থাকার থাকার আশায় বুধবার সকাল ৭টা থেকে উদ্ধারকারীরা কাজ শুরু করেন। উদ্ধারের এক পর্যায়ে ভবনের ভেতর থেকে সাজিদুল(১০) নামের এক শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার অভিযানের প্রধান নৌ বাহিনীর কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রাইয়ান আল বেরুনী জানান, ভবন ধ্বসের ঘটনায় আজ বুধবার সকাল ৭ টায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করার পর সকাল ৮ টায় শিশু সাজিদুলের(১০) মৃত দেহ উদ্ধার করেছে নৌ বাহিনীর ডুবরী দল।
তিনি আরো জানান, ধ্বসে পড়া ভবনে আর কোন লোকজন আটকে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে নিশ্চিত হওয়ার পর সকাল সাড়ে ৮টয় তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য,মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শহরের রিজার্ভ বাজারের সরকারী মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় কাপ্তাই হ্রদ ঘেষে গড়ে উঠা নঈম উদ্দীন টিটু ঠিকাদারের মালিকাধীন তিন তলা পাকা ভবন হঠাৎ বিকট শব্দে কাপ্তাই পানিতে পানিতে হেলে পড়ে যায়। এতে তিন ভবনের চার পরিবারের সদস্য ছিলেন। তবে ভবনের উপর তলা থেকে লোকজন বেরিয়ে আসতে পারলেও নিচ তলার লোকজন বের হতে পারেননি। পরে নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দল ভবনে উদ্ধার পরিচলানার এক পর্যায়ে ট্রাক চালক জাহিদ হোসেন ও তার মেয়ে পিংকি(১৩), রাঙামাটি সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্র উম্মে হাবিবা(২২), সামিদুল(৭)। উদ্ধারকারী জীবিত অবস্থায় ৫জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে শোফা বেগম নামের এক গৃহ বধূকে আহত অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এ ভবন ধ্বসের ঘটনায় রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোয়াজ্জেম হুসাইনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বাড়ির মালিক নঈম উদ্দীন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। নিহতদের প্রত্যেককে জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.