খাগড়াছড়িতে ৩ জেএমবি সদস্যকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো দুই বছর কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন খাগড়াছড়ির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ মো: ইনামুল হক ভূঁইয়ার বিশেষ ট্রাইবুন্যাল এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম শান্তিপুর এলাকায় ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি’র প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের সন্ধান পায় র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। ওই ঘটনায় তাদেরকে আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৮ ও অস্ত্র ও বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনে মামলা করা হয়।
এ মামলার সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ মো: ইনামুল হক ভূঁইয়ার বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে চুড়ান্ত মামলার দিন ধার্য্য ছিল। এতে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ৩ জেএমবি সদস্যকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেন। এছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো দুই বছর কারাদন্ডের নির্দেশ দেন খাগড়াছড়ির বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হল, জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ছুটনা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম ওরফে জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও মাটিরাঙ্গার শান্তিপুর এলাকার মো: ইউনুছ। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত সন্ত্রাস বিরোধী আইনে এই তিন সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ মোট ৫জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে র্যাবের একটি বিশেষ দল খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় অভিযান চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেএমবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আব্দুর রহিম ওরফে জাহিদ হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে সজিব, মো. ইউনুছ আলী ওরফে ইউনুছ, সামছু মিয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক দু’টি মামলা হয়। পরবর্তীতে পাঁচজনকে আসামী করে চার্জশীট দেওয়া হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.