আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করে বলেছেন, আধিপত্য বিস্তারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী আজও অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে পাহাড়ের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে সব সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূল করতে হবে। এই অঞ্চলে ফিরিয়ে আনতে হবে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ। এ লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
রোববার রাঙামাটিতে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহরের রাজবাড়ির কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো. কামাল উদ্দিন। বক্তব্যে রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর।
সকালে দীপংকর তালুকদার রাঙামাটিতে পৌঁছার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর আগে দীপংকর তালুকদার চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে পৌছালে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাউখালী উপজেলার রাবার বাগান থেকে বিশাল মোটর শোভাযাত্রা সহকারে রাঙামাটি শহরে নিয়ে আসা হয়।
আওয়ামীলীগ নেতা দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ আজও সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। এখানকার সাধারণ মানুষ নির্বাচনে স্বাধীনভাবে নিজের ভোটও দিতে পারেন না। অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট ডাকাতি করে অন্যের জয় ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে রাঙামাটিতে অবৈধ অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের মুখে জয় ছিনিয়ে নেয়া হলেও রাঙামাটিতে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগ বর্তমানে শক্তিশালী অবস্থানে। দলীয় নেতাকর্মীরা সুশৃংখলবদ্ধ ও সুসংগঠিত। এ জেলার সব নেতাকর্মীর শ্রম ও ত্যাগ-তিতিক্ষ্যার মূল্যায়ন করে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দীপংকর তালুকদার বলেন, সামনের নির্বাচনের আগে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস নির্মূল ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।
দীপংকর তালুকদার তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। এই বিশ্বাসকে যারা ভঙ্গ করতে চাই তারা কখনোই আওয়ামীলীগের একজন প্রকৃত নেতা হতে পারে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.