জাল ও ভূয়া ব্যাংক সার্টিফিকেট প্রদানের অভিযোগের মামলায় রুপালী ব্যাংকের রাঙামাটির তবলছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক রুমা বড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক)। বুধবার ব্যাংকের তবলছড়ি শাখার ভবন থেকে দুদুকের কর্মকর্তারা কোতয়ালী পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে।
দুদক রাঙামাটি সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকের তবলছড়ি শাখার ভবন থেকে দুদুকের কর্মকর্তারা কোতয়ালী পুলিশের সহায়তায় রুমা বড়ুয়াকে আটক করে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে রাঙামাটির বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রোকন উদ্দীন কবিরের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নিদের্শন দেন। একই সাথে বিজ্ঞ আদালত আগামী ৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানীর পরবর্তী দিন ধার্য্য করে দেন। তবে জাল ও ভূয়া ব্যাংক সার্টিফিকেট প্রদানের মামলার অন্যতম আসামী ও মায়েশা এন্টার প্রাইজ-এর সত্বাধিকারী যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান দীপু পলাতক রয়েছেন।
দুদক রাঙামাটি কার্যালয়ের পরিদশর্ক নিজামুর রহমান জানান,পার্বত্য চট্গ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি এলাকার নারিকেল বাগানস্থ রাঙামাটি পাবলিক কলেজের ভবন নির্মানের জন্য কাজ পান মেসার্স মায়েশা এন্টার প্রাইজ-এর সত্বাধিকারী মুজিবুর রহমান দীপু।
ওই ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসাব নন্বরে ৪১ লাখ ২০ টাকা রয়েছে বলে ব্যাংক গ্যারান্টির সার্টিফিকেট প্রদান করেন রূপালী ব্যাংকের তবলছড়ি শাখার ব্যবস্থাপক রুমা বড়ুয়া। পরে ওই ব্যাংকের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে খোজখবর নিয়ে জানতে পরে ওই হিসাব নম্বরে কোন টাকাই জমা নেই।
পরে দুদক রাঙামাটিকে বিষয়টি অভিযোগ করা হলে দুদকের কর্মকর্তারা তদন্তের করে সত্যতা পাওয়ার পর বুধবার রাঙামাটি কতোয়ালী থানায় মুজিবুর রহমান দীপুকে ১ নম্বর ও রুমা বড়ুয়াকে ২ নম্বর আসামী করে মামলা দায়ের করে দুদক। যার মামলা নং- ৯।
তিনি আরো জানান,ওই মামলার ১নম্বর আসামী ঠিকাদার মুজিবুর রহমান দীপু বর্তমানে আত্নগোপণে রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.