বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জুমচাষ ব্যবস্থাপনায় প্রবিধানমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত এক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় জুম চাষ সংক্রান্ত প্রবিধানমালা প্রণয়নের সময় দেশের প্রচলিত আইন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয় এ বিষয়ে নজর রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। সভায় চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়, জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, পরিষদের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা,জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেরোল চাকমাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৌজা হেডম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের জুমচাষ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রবিধানটি সার্কেল চীফ ও হেডম্যানদের সাথে সমন্বয় রেখেই করা হবে উল্লেখ করে বলেন,পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করতে সার্কেল চীফ, হেডম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত এবং পরামর্শ প্রয়োজন। এতে জেলা পরিষদগুলো আরো গতিশীল হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ সালের আইনের অধীনে রুলস্ ফর দ্যা এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ দ্যা চিটাগং হিল ট্রাক্টস এর জুমচাষ নিয়ন্ত্রণ বিধি ৪১ এ ও ৪২ সংশোধন করে সরকার পাহাড়ে জুমচাষ ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের উপর ন্যস্ত করে।
পার্বত্য মন্ত্রণালয় ২০১৩সালের ২৫এপ্রিল এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এরই আলোকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জুমচাষ ব্যবস্থাপনায় প্রবিধান প্রণয়ন করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.