বাংদেশের নিয়মাতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি ত্যাগ করে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো যদি অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তাদের দাবী-দাওয়া আদায় করতে চাই সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কখনো তার বরদাস্ত করবে না বলে হুুশিয়ারী দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, অধিকার আদায়ের নামে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে কতিপয় আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি এই জিম্মিদশা থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দীপংকর তালুকদারকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাকে দেয়া এক গণ-সংবর্ধনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকার। এসময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজি কামাল উদ্দিন, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি জাহিদ আক্তার, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ কাজল, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জানে আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন। এসময় লংগদু উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে রাখেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বিএনপি থেকে শতাধিক নেতাকর্মী ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আওয়ামীলীগ নেতা দীপংকর তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকার পাহাড়ের মানুষের শান্তির জন্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন করেছে। কিন্তু এই অবৈধ অস্ত্রের কারণে এগুলো বিলম্ব হতে বাধ্য হচ্ছে। পাহাড়ের মানুষের জীবন যাপন যদি স্বাভাবিক অবস্থা না হয় তাহলে এই শান্তি চুক্তি ও ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কখনোই সম্ভব নয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাড়াতে হবে।
সংবর্ধনা সভায় ফিরোজা বেগম চিনু এমপি পাহাড়ের অস্ত্রধারীদের সহযোগিতায় যারা দালালি করে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশকে একটি সোনার বাংলাদেশে রুপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা তাকে হত্যা করে পাকিস্থানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চক্রান্ত চালাচ্ছিল। কিন্তু তাঁর সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহৃত রাখতে আগামী নির্বাচনে তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ্য হয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পার্বত্যাঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসে বিধায় জননেতা দীপংকর তালুকদারকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছেন।
তিনি বুঝেন এই পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে দীপংকরই নেতৃত্ব দিতে পারবেন। তাই আগামী ২০১৯সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে রাঙামাটির আসনটি নেত্রীকে উপহার হিসেবে দিতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.