বুধবার রাঙামাটিতে জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছাদেক আহমদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা পরিষদের সদস্য ও হস্থান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.বিনোদ শেখর চাকমা বলেন, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে কেবিন নির্মাণের কাজে অগ্রগতি হচ্ছে। নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সীমানার মধ্যে যে সমস্ত অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদের বিষয়ে প্রশাসন কর্তৃক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক রমনী কন্তি চাকমা বলেন, বর্তমানে বোরো মৌসুম চলছে। জেলায় এবারে ৭৭৩৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের টার্গেট থাকলেও এ পর্যন্ত ৮১৭ হেক্টর পর্যন্ত চাষাবাদ হয়েছে পানির হৃদের পানি কমলে টার্গেট পূরণ করতে অনেকাংশে সক্ষম হবো। এছাড়া জেলা পরিষদের অর্থায়নে কফি চাষ ও একটি পাহাড় একটি খামার প্রকল্প যথারীতি চলছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, বছরের প্রথম দিনে জেলা ও উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া চেলাছড়া ও আটারকছড়া আবাসিক বিদ্যালয়গুলো নির্মার্ণের পরও খাই-খরচের জন্য একটি বরাদ্দ তৈরি করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা সমাজ সেবা বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা অনুযায়ী সমাজসেবা কর্তৃক তালিকাভুক্তদের মাঝে বয়স্ক ভাতা ৪শত টাকার পরিবর্তে ৫শত এবং প্রতিবন্ধী ৫শত টাকার পরিবতে ৬শত নির্ধারণ করা হয়েছে অন্যন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, শিক্ষা ভাতা, সঠিকভাবে প্রদান করা হচ্ছে। মন্ত্রনালয় হতে এবারে ১৬-১৭অর্থ বছরে ২কোটি ৬০লক্ষ ১৯হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১ফেব্রুয়রী থেকে তিন মাস ব্যাপী বেকার যুবদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২৯জানুয়ারী পর্যন্ত।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স-এর ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, বর্তমানে পর্যটক মৌসুম চললেও খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ন্যয় রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে বিনোদন ব্যবস্থা কম থাকায় পর্যটক কম হচ্ছে পরিষদ কর্তৃক আধুনিক মানের বিনোদনের ব্যাবস্থা করা গেলে পর্যটক আকৃষ্ট হতো।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন দেশকে ডিজিটাল ও উন্নত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়তে। তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে পরিষদের হস্থান্তরিত বিভাগের কার্যক্রমের গতিশীলতা বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সে লক্ষ্যকে নিয়ে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য জেলা পরিষদের তুলনায় এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। পরিষদের হস্থান্তরিত বিভাগের কোন সমস্যা হলে তা জেলা পরিষদ কর্তৃক অনেকাংশে সমাধান করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সমতলে সরাসরি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করতে হয়।
পরিষদের এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে আন্তরিকতার সাথে আমরা যদি একসাথে দেশের উন্নয়নে কাজ করি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে বেশী দেরী হবে না। আর এর সুফল এদেশের জনগনই ভোগ করবে।উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে ও সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.