ঠেকানো গেল না বাল্য বিবাহ! বরকল উপজেলায় অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বরকল উপজেলার বিলছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ওই স্কুল ছাত্রীর নাম তপনা চাকমা (১৫)। সোমবার সকালে ওই এলাকার জলন্ত চাকমার ছেলে রনজিত চাকমার (২৩) সাথে মেয়েটির বিয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে এলাকার সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে,স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হিরক চাকমা কয়েকজন যুবককে সাথে নিয়ে এবং ছাত্রীটির অভিভাবক ও বরপক্ষকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে এই বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। তবে ২নং বরকল ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার হিরক চাকমা জানিয়েছেন, মেয়েটি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী হলেও এখন স্কুলে যায় না। সার্টিফিকেটে বয়স কম হলেও তার বয়স ২০ বছরের কম হবে না।
এদিকে বাল্য বিবাহ রোধে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি বরকল উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিলছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিঘ্ন বিনাশন চাকমা বলেন, তার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীটিকে বিয়ে দেয়া তা গ্রহণযোগ্য নয়। বাল্য বিবাহ আইনত দন্ডনীয়। বিষয়টি বরকল উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এলাকার মুরুব্বী ও বরকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমলেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েটির বিয়ে না দেয়ার জন্য মেয়ে ও ছেলে পক্ষকে বুঝিয়েছি। তারা কারোর পরামর্শ শোনেনি। সমাজের মুরুব্বীর কথাও মান্য করেনি এবং প্রশাসনের কথাও মানেনি। এটা খুবই দুঃখজনক। তাদের ব্যবহারে আমি হতাশ ও ক্ষুব্দ। বাল্য বিবাহের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া পারভিন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি কাজে ব্যস্ত থাকায় সেখানে যেতে পানেনি। থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.