• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাম্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না                    রাঙামাটিতে সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি`র নির্মানাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া                    রাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন                    রাঙামাটিতে এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক                    বিলাইছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন                    রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২তম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’তে পরিকল্পিত বনায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সনাক-টিআইবি’র অ্যাডভোকেসি সভা                    খাগড়াছড়িতে বীর শহীদদের প্রতি আরাফাত রহমান কোকোর ক্রীড়া পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলী                    সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি                    পাহাড়ে খড়ের পরিবর্তে শুকনা কলা পাতায় মাশরুম চাষে সাফল্য                    লংগদুতে গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে এক যুবক আটক                    পাহাড়ে হাতি ও মানুষরে দ্বন্দ্ব কমছে                    রাঙামাটিতে ৮৫ হাজার ৮৬০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে                    শিশুর যৌন নির্যাতনকারী দাদুকে আটক করেছে পুলিশ                    রাঙামাটিতে দাদুর যৌন নির্যতানের শিকার নাতিনী                    রাজস্থলীতে বাচ্চা প্রসবকালে বন্য হাতির মা ও শাবকের মৃত্যু                    সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আঃলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা                    পাহাড়ে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে মিডওয়াইফারি নার্সিং সেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ                    
 
ads

খাগড়াছড়িতে ৮৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার,খাগড়াছড়ি : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 24 Apr 2019   Wednesday

খাগড়াছড়ি জেলার নয় উপজেলায় ৮৩ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় আছে। ক্লাশরুম সংকটের কারণে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ন এসব ভবনে এখনো চলছে পাঠদান কার্যক্রম। আহত, নিহতসহ যেকোন দূর্ঘটনার আশংকায় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও পরিচালনা পরিষদের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের সংস্কার বা পুনঃ নির্মানের উদ্যোগ নেই শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের।

 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৩৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ন ভবনগুলোর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ২৪টি , মাটিরাঙা উপজেলায় ১৮টি, পানছড়ি উপজেলায় ১১টি, মহালছড়ি উপজেলায় ১৫টি, রামগড় উপজেলায় ৭টি, লক্ষীছড়ি উপজেলায় ৪টি, দীঘিনালা উপজেলায় ৫টি এবং মানিকছড়ি উপজেলায় ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়িমুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন তার ক্লাশ সংকটের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রথম, তৃতীয় শ্রেণিসহ অফিস কক্ষ রয়েছে। দুই শ্রেণিতে ৬০জন শিক্ষার্থী ও ১০জন শিক্ষক তাদের নিয়মিত কার্যক্রম এই ভবন থেকে পরিচালনা করে আসছে। গত ১০ বছরে একাধিক পত্র লিখেও কোন সমাধান আসেনি।

 

”মৃত্যুর আশংকা নিয়ে ক্লাশে যেমন ছাত্রছাত্রীরা, তেমনি অফিসে শিক্ষক শিক্ষিকাগণ। আশংকা মাথায় নিয়ে না হয় পাঠদান, না হয় প্রকৃত শিক্ষা, এই দুরাব্স্থা থেকে নিরাপদ পাঠদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বলেন অনেক বিদ্যালয় কয়েক বছর আগে জাতীয়করণের আওতায় এসেছে। ফলে অনেক স্কুলই এখনো পাকা বিল্ডিং পায়নি। বেশিরভাগ স্কুল টিনশেড। এসব বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অনেক পাকা বিল্ডিংও ঝুঁকিপূর্ন। আশংকা ও আতংকের মধ্যে মানসম্মত পাঠদান হয়না উল্লেখ করে তিনি এগুলো দ্রুত পুণঃ নির্মাণের দাবী জানান।

 

মাটিরাঙা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণ লাল দেবনাথ বলেন মাটিরাঙা উপজেলার ইউএনডিপি কর্তৃক পরিচালিত স্কুল, যেগুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগ স্কুল ঝরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিরভাগ স্কুলই টিনশেড ও বাঁশের বেড়ার তৈরি। ঝুঁকিপূর্ন ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। আতংক ও আশংকা থাকলেও স্থানীয়ভাবে বাঁশ-কাঠ দিয়ে কোন রকম চালানো হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ন ১৮ স্কুলের মেরামতের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বরাদ্ধকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছানো হবে। তাছাড়া যেসব স্কুল পাকা কিন্তু সংস্কার প্রয়োজন এমন ১৬টি স্কুলের জন্য দেড় লক্ষ টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এসব টাকাও পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ন সব বিদ্যালয় পূনঃ নির্মান করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন তিনি বিগত ২৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ন ভবনগুলোর তালিকা তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট চিঠি পাঠান। সেই চিঠির কপি একই অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এর নিকট পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত ভবনগুলোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ঝুঁকিপূর্ন এসব ভবন সংস্কার অথবা পুণঃ নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, তিনি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। যদি ভালো সাড়া না পান তবে পার্বত্য জেলা পরিষদ ছোট ছোট স্কিমের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেংগে নতুন ভবন তৈরি করবে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো জনবান্ধব করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ