রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের বড়াদম এলাকায় আইন-শৃংখলা বাহিনী সাথে এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সংঘর্ষে ৫জন নিহত ও ১ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় ৬টি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ শনিবার ভোর ৫টার দিকে ৪ বেংঙ্গল রেজিমেন্টের বাঘাইহাট সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে:কর্নেল আলী হায়দার সিদ্দিকী ও মেজর আসিফের নেতৃত্বে আইন-শৃংখলা বাহিনীর একদল সদস্য বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের বড়াদম এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের জ্ঞান জ্যোতি চাকমার বাড়ী ঘেরাও করে। এতে এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১২ জনের একটি দল জ্ঞান জ্যোতি চাকমা বাড়ী ও তার পাশ্ববর্তী অপর একটি ছোট বাড়ীতে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে অবস্থান করছিল। ঘেরাও এসময় উপস্থিতি টের পেয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে অস্ত্রধারীরা । আইন-শৃংখলা বাহিনীও পাল্টা গুলি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা গ্রুপের ৫ সদস্য নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় লিয়াকত আলী কল্লোল নামের এক সেনা সদস্য আহত হয়েছে। তাকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম সন্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তার মাথার বাম পাশে গুলি লাগে। নিহতরা হলেন রুপায়ন চাকমা, তাতুমনি ত্রিপুরা, কান্তি মারমা, জ্যাকসন চাকমা ও বাবুল চাকমা। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। সেগুলো হল এসএমজি ১টি, এসএলআর ৩টি, চাইনিজ রাইফেলস ২টি, ৯এমএম পিস্তল ১টি, ম্যাগজিন ১৪টি, কাতুর্জের তাজাগুলি ৫১৩টি, বিপুল পরিমাণের সেনাবাহিনীর সদৃশ পোশাক, ৭টি মেবাইল সেট ও কাগজপত্র।
এমএন লারমা গ্রুপের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা জানান, এ রকম কোন তথ্য এখনো পাননি। তাই নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না। তবে বিভিন্ন টিভিসহ সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রচার হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ফকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি ঘটানাস্থলে রয়েছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.