রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া পাহাড়ী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিয়োগে পুলিশ শাহ আলম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার তাকে রাঙামাটির জুডিসিয়াল আদালতে হাজির করার পর পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কাপ্তাই থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত বলেন, এ ঘটনায় কাপ্তাই থানায় বুধবার রাতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীটির মা। মামলার পর রাতে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান হোতা শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় জব্দ করা হয় ধর্ষণের সময় ব্যবহৃত অটোরিকশাটি। শাহ আলম ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী আসামীকে সনাক্ত করেছে।
তিনি আরও জানান,গ্রেফতারকৃত শাহ আলমের কাছ থেকে আরো অধিকতর তথ্যর আজ বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবিরের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বাকী ৩ আসামীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়,বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে ঐ কিশোরী প্রতিদিনের মতো কাপ্তাই সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (বিএসপিআই) সড়কে হাঁটতে বের হয়। পাঁচটার দিকে একটি অটোরিকশা থেকে নেমে মো. শাহ আলমসহ চারজন লোক তার মুখ চেপে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে শহীদ মোয়াজ্জেম নৌ ঘাঁটি সড়কে নিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আবার অটোরিকসায় তুলে বিএসপিআই সড়কের কাছে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দ্রুতগতিতে চলে যায়। সে কোনো মতে বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি জানায়।
পরে কিশোরীকে রাঙামাটি কতোয়ালী থানার ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার নেয়ার পর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.