দেশের বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু আর্যপুরুষ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের শুক্রবার ৯৭তম জন্ম দিবস। এ উপলক্ষে শুক্রবার ভোর থেকে রাজ বন বিহারে নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বনভান্তের ৯৭তম জন্ম দিবস পালিত হচ্ছে।
রাঙামাটি রাজ বন বিহারের দেশনালয়ে শুক্রবার ভোর ৫টা ৩০মিনিটে পরিনির্বাণপ্রাপ্ত বনভান্তের ৯৭ তম জন্ম দিবসের অনুষ্ঠানিকভাবে ৯৭ পাউন্ড ওজনের কেক কাটেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুসংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ। আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটা শেষে পরিনির্বাণপ্রাপ্ত বনভান্তের বাণীও সূত্রপাঠ করা হয় । এর পর আকাশে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষ হয়।
সকালের দিকে বের করা হয় বর্নাঢ্য র্যালী। রাজ বন বিহারে বিজ্ঞান ও বিনয় সম্মতভাবে পেটিকাবদ্ধ(বিশেষ কফিন) অবস্থায় রাখা বন ভান্তের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে বিশ্ব শান্তি কামনায় ধর্মীয় সভা। সভায় চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি রাজ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বিকালে রাজ বন বিহার প্রাঙ্গনে ৮৪ হাজার বাতি প্রজ্জ্বালন করা হবে। অনুষ্ঠানে হাজার হাজার পূর্নার্থী যোগদান করেছেন।
এর আগে গেল শনিবার বনভান্তের জন্ম স্থান মোড়ঘোনায় গ্রামে শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে ৯৭ জন্ম দিবসের ৭দিন বাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করেছেন। এছাড়া সোমবার রাঙামাটি শহরে বের করা হয় ত্রিপিক র্যালী।
উল্লেখ্য,দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির রাঙামাটি রাজ বনবিহারের অধ্যক্ষ ও আর্যপুরুষ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারী রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের মোড়ঘোনা গ্রামের জন্ম গ্রহন করেন।
তিনি ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারী ৯৩ বৎসর বয়সে পরিনির্বাণ(দেহত্যাগ) লাভ করেন। বর্তমানে বনভান্তের মরদেহটি বিজ্ঞান ও বিনয় সম্মতভাবে পেটিকাবদ্ধ(বিশেষ কফিন) অবস্থায় রাঙামাটির রাজ বন বিহারে রাখা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.