শুক্রবার রাঙামাটির কুৃতুকছড়িতে শত বৌদ্ধ ভিক্ষুর অংশগ্রহণে বুদ্ধপুজা, সীবলী পুজা, মহাসংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপদান ও সদ্ধর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি, সাপছড়ি, ঘিলাছড়ি ও বুড়িঘাট ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠানের সদ্ধর্ম দেশনা দেন বনভান্তের অন্যতম শিষ্য শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। চট্টগ্রামের অন্যতম বর্ষীয়ান বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ত্রিপিটক বিশারদ শ্রীমৎ প্রিয়দর্শী মহাস্থবির শত ভিক্ষু সম্মিলনে সংঘনায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ধর্মদেশনা দেন, পার্বত্য বৌদ্ধ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ সুমনা লংকার মহাস্থবির, রাঙামাটির ফুরোমোন আর্ন্তজাতিক বন ধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও বনভান্তের দ্বিতীয় শিষ্য শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাস্থবির, দিঘীনালা সাধনাটিলা বন বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধবংশ স্থবির প্রমুখ।
সম্মিলনে বনভান্তের শিষ্যমন্ডলীসহ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার থেকে ১৩৭ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শুরুতে করণীয় মৈত্রী সুত্র পাঠ করে বিশ্বপ্রাণীর মঙ্গল কামনা করেন ভিক্ষু সংঘ। এসময় পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন স্থানীয় মুরুব্বী অমল কান্তি হেডম্যান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু বিকাশ চাকমা, বিশেষ প্রার্থনা করেন হ্যাপী চাকমা।
কুতুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সন্তু বিকাশ চাকমা জানান, ২০১১ সাল থেকে এই শত ভিক্ষু সম্মিলনে মহাসংঘদান অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। প্রতিবছর শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও কয়েক হাজার পুণ্যার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করা ও সকলের অংশগ্রহণে একটা মিলন ক্ষেত্র রচনার মাধ্যমে পুণ্য সঞ্চয়ের লক্ষেই এই মহাসংঘদান। অনুষ্ঠানে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে সহ¯্রাধিক পুণ্যার্থী অংশ নেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.