রোববার খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বনবিহারে প্রয়াত সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের প্রধান শিষ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাধক শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির ওরফে নন্দপাল ভন্তের ৬৩তম জন্ম দিন পালিত হয়েছে।
নন্দপাল ভন্তের ৬৩তম জন্ম দিন উপলক্ষে নন্দপাল ভন্তেকে নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে ভোর পাঁচটায় বন বিহার প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। জন্মদিনের এ অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রাণ হাজারো নারী-পুরুষ যোগ দেন।
নন্দপাল মহাস্থবির বনভান্তের ৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে আরও ছিল, মঙ্গলাচরণ পাঠ, ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ বুদ্ধ পূজা, সীবলি পুজা, উপগুপ্ত মহাথেরো পূজাসহ সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, ধর্মদেশনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন। এসময় ধর্মসভায় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। বিষেশ অতিথি ছিলেন, দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো. মহসিন রেজা পিএসসি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান গোপাদেবী চাকমা, বোয়ালখালী ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা প্রমূখ।
জানা গেছে, শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির ১৯৫২ সালের ১০ মে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালের ১৪ নভেম্বর পরমপূজ্য সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের নিকট “তিনটিলা বনবিহারে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। তিনি ত্রিপিটক শাস্ত্রে অধ্যায়নের জন্য ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে যান। সেখানে দুই মাস উপসম্পদা গ্রহণের পর বনভান্তের কাছে ফিরে এসে রাঙামাটির রাজবন বিহারে অবস্থান করেন।
তিনি ১৯৮৩ বনভান্তের নির্দেশে রাঙামাটির বন্ধুকভাঙ্গা ইউনিয়নের যমচুগ নামক পাহাড়ে ১৭ বছর ধরে ধ্যান-সাধনা করেছেন। ১৯৯৯ সালে দীঘিনালাবাসী এবং তৎকালীন পার্বত্যমন্ত্রী কল্পরঞ্জন চাকমার উদ্যোগে দীঘিনালা বনবিহারে তাকে নিয়ে আসেন। তিনি ভারতের বিহার প্রদেশের বুদ্ধগয়া, ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মিজোরামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বুদ্ধের অমূল্য বাণী প্রচার করে যাচ্ছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.