রাঙামাটি বালুখালীর কাইন্দ্যা খারিক্ষ্যং এলাকার তপোবন অরণ্য কুটিরে প্রবারনা উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার বুদ্ধমূর্তিদান, অষ্টপরিষ্কার দান ও সংঘদানসহ নানাবিধ দানোৎসর্গ ও ধর্মীয় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ধর্মীয় সভায় পূর্ণাথীদের উদ্দ্যেশে ধর্ম দেশনা দেন খাগড়াছড়ির পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ শাসন রক্ষিত মহাথের ও তপোবন অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ জিনোপ্রিয় মহাস্থবির। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অমিত চাকমা রাজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা, প্রবারনা উপযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তীলক চন্দ্র চাকমা।
অনুষ্ঠান শুরুতে ধর্মীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল, মহাসংঘদান, বুদ্ধমূর্তিদান, অষ্টপরিষ্কার দান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অমিত চাকমা রাজু বলেন, বুদ্ধের উপদেশগুলোকে মনে ধারন করে সমাজ তথা দেশ উন্নয়নে তাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, বৌদ্ধরা অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি-সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। প্রবারণার প্রধান শিক্ষা হলো সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা। বুদ্ধের উপদেশ মতে সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্যেই আছে শান্তি ও সান্তনা। পূর্ণাথীদের আগমনের সুবিধার্থে তিনি আগামীতে পরিষদ থেকে দূর্গম তপোবন অরণ্য কুটিরের সীঁড়ি নির্মান ও বৌদ্ধ মন্দিরটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.