বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার রাঙামাটির বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়ায় যীশু খ্রীষ্টের শুভ বড়দিন উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এ উপলক্ষ্যে ইভ্যানজেলিক্যাল চার্জ অব বাংলাদেশ গীর্জায় সভাপতি লালছোয়াক লিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেনজেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদের সাবেক সদস্য অভিলাষ তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাংলিয়ানা পাংখোয়া, বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুর রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপজেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় আলোচনা সভায় বাইবেল পাঠ, ধর্মীয় বাণী ও আর্শিবাদ বচন দেন ইভ্যানজেলিক্যাল চার্জ অব বাংলাদেশ গীর্জার এ্যালসান পাংখোয়া। অনুষ্ঠান শেষে দরিদ্্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে ধর্মীয় সঙ্গীত, কীর্তন, প্রার্থনা ও কেক কেটে উৎসবের শুভ সূচনা করেন খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের নরনারীরা।
প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, উৎসব যার যার রাষ্ট্র সবার, আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন জাতি ধর্ম বর্ণের হলেও আমাদের প্রধান পরিচয় আমরা মানুষ। পৃথিবীতে যুগে যুগে যেসব মহামানবের জন্ম হয়েছে সবারই বানীতে একটাই কথা বলা রয়েছে জগতের সকল প্রাণীর শান্তি ও সুখ কামনা। হিংসা, লোভ, হানাহানি ত্যাগ করে মানুষের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারলেই এটাই পরম ধর্ম।
তিনি আরও বলেন, জগতে ভালো কাজের প্রতিফলন সবসময় ভালোই হয়। খারাপ কাজের খারাপ। মৃত্যুর পরও মানুষের ভালো ও খারাপ কাজের কথা মানুষ বলে বেড়াই।
তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ জাতি বিভেদ নয় একজন সৎ মানুষ হিসেবে সমাজের তথা দেশের কল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলেই জীবন স্বার্থক হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.