হিন্দু ধর্মালম্বীদের দোলযাত্রা(হোলি) উৎসব বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় রাঙামাটিতে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল থেকে শিশু-কিশোর ও তরুন-তরুনীরা এ হোলি খেলায় মেতে উঠে।
রাঙামাটির বিভিন্ন মঠ মন্দিরে দোলযাত্রা (হোলি) উৎসবটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্যে পালিত হয়েছে। এ দোলযাত্রা উৎসবে সকল ধর্মের মানুষ এ উপলক্ষে সকাল থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হন। বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোর তরুন-তরুনী সকাল থেকেই আবির ও গুলাল নিয়ে রং (হোলি) খেলায় মেতেছিল। দিনব্যাপী ছোটরা বয়স্কদের পায়ে ও কপালে আবির মেখে আর্শিবাদ কামনা করে। তেমনি বয়স্করা আর্শিবাদ করেন ছোটদের। দোলযাত্রা উৎসবটি উপলক্ষে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন মঠ মন্দিরে চলে রাঁধা কৃষ্ণের দোলযাত্রা, কীর্তন ও মহোৎসব।
উল্লেখ্য, বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোল পূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে এ দোলযাত্রা অত্যন্ত জাক-জমকপূর্নভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.