কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ইউএনও এর মোবাইল নাম্বারের সিম ক্লোনিং-এর মাধ্যমে একটি প্রতারক চক্র প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে।
তবে অল্পের জন্যে উপজেলার চারজন ইউপি চেয়ারম্যান মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যান। শনিবার এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ইউএনও রোববার কাপ্তাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, ঘটনার দিন উপজেলা ইউএনও এর মোবাইল নং- ০১৭৬২-২০২০২৫ এর শুরুতে + (প্লাস) যুক্ত করে আঠার বার আমার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হয়। প্রতিবারেই অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব আপনার ইউনিয়নে প্রকল্প বরাদ্দ দিচ্ছেন।
এসময় একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে বল হয়, ওই নম্বরে তড়িৎ দেড় লক্ষ টাকা পাঠানোর জন্য। তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার জন্য আমার মোবাইল থেকে ইউএনও এর নম্বরে ফোন করা হলে ওই নম্বরে কল ঢুকছে না দেখে অপর এক মোবাইল থেকে ইউএনও এর সাথে যোগাযোগ করা হয়।
তখন বিষয়টি ইউএনও কে জানালে তিনি অনেকটা অবাক হয়ে বলেন, এব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না এবং তাকে টাকা পয়সার কোন প্রকার লেনদেন না করার পরামর্শ দেন। এভাবে ওয়াগ্গা ইউপি চেয়াম্যান অংহ্লা চিং মারমা, চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান খেইসা অং মারমা ও রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান অংসি মারমার নিকট অর্থ চেয়ে ফোন করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও দুলাল চন্দ্র সূত্রধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারক চক্রকে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে জনসাধারণকে তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.